চুয়াডাঙ্গা সদরের প্রাইমারি স্কুলে দপ্তরি-কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগকে কেন্দ্র করে উচ্চ আদালতে রিট

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি-কাম নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা আজ ও কাল হওয়ার কথা রয়েছে। নিয়াগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন রবিউল ইসলাম। অপরদিকে রিট পিটিশন করেননি বলে পিটিশনের বাদী রবিউল ইসলামের পাল্টা অভিযোগও করেছেন। তবে দপ্তরি-কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ নিয়ে অর্থবাণিজ্য হওয়ায় বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা উপজেলার ২১টি বিদ্যালয়ে দপ্তরি-কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে চাকরি প্রত্যাশিতরা যেমন ছুটছেন চাকরির জন্য। আর এ সুযোগে কেউ কেউ হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। আবার একটি চাকরির বিপরীতে একাধিক প্রার্থীর নিকট থেকেও টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থীর নিকট অর্থবাণিজ্য হওয়ায় সম্ভাব্য চাকরি প্রার্থীদের নামও শোনা যাচ্ছে জোরে সোরে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছাবদার মণ্ডলের ছেলে রবিউল ইসলামের পক্ষে কোটালী গ্রামের ফয়জুল্লা তরফদারের ছেলে দপ্তরি পদে আবেদন প্রার্থী গত ১৬ মার্চ সুপ্রিমকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। যেখানে রবিউল ইসলাম বিবাদী করেছেন শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও কোটালী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে। এদিকে মামলার বাদী রবিউল ইসলাম গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, উচ্চা আদালতে তিনি কোনো রিট পিটিশন করেননি বা কাউকে রিট আবেদন করার অনুমতিও দেননি।

চুয়াডাঙ্গা সদরের ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দপ্তরি-কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ পদে মৌখিক/লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছে- রাঙ্গিয়ারপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মসলেম উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দীন, ডিহিকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আইনালের ছেলে আকমত আলী, কোটালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রওশন আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, বাটিকাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খাইরুল ইসলামের ছেলে ছালাম, তেঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহিদুলের ছেলে হাসিবুল, গহেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসাদ আলীর ছেলে সাজেদুল ইসলাম, কালোপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেহের আলীর ছেলে স্বপন আলী, খাড়াগোদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুদ মণ্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও গিরীশনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রফিকুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেনের নাম। এ সব নিয়োগে ৫-৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রার্থী বলেন, সবকিছু ম্যানেজ করতে হবে বলে টাকা বেশি লেগে যাচ্ছে।