চুয়াডাঙ্গা শান্তিপাড়ায় গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাসহ তিনজনের বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার: ‘আমার পিতা-মাতা, আমি ও আমার ছোটবোন সবাই মিলে আত্মীয়বাড়ি গিয়েছিলাম। এসে দেখি আমাদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমার পিতা বাসের কাউন্টার মাস্টার। আমরা দু বোন। ছোট বোন বৃষ্টি নবম শ্রেণিতে পড়ে। আর আমি পড়ি ইন্টারমিডিয়েটে। আমাদের পিতা ছাড়া কেউ নেই আয় করার মতো। পিতা যা আয় করেন তা দিয়ে কোনো রকম আমরা দু বোন পড়ালেখা করে খেয়ে না খেয়ে জীবন-যাপন করছি। এখন আমাদের একমাত্র মাথা গোজার ঠাঁইটুকুও ভেঙে দিয়ে গেলো ওরা।’ এভাবেই কাঁদতে কাদতে জানালো বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের শিকার হওয়া বিপুলের মেয়ে বিপাশা খাতুন। ১৫/২০ বছর আগে অন্যদের মতো বিপুলও চুয়াডাঙ্গা শান্তিপাড়ায় মাথাগোজার জন্য জমি কেনেন। হঠাত কোনো কিছু না জানিয়ে হুমায়ন নামের এক ব্যক্তি পুলিশ সাথে করে এসে বাড়িটি ভেঙে দিয়ে গেলো। একই সাথে ভেঙে দেয়া হয় মৃত খাদেম আলী মণ্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুজ্জামান ও মৃত সবেদ আলীর ছেলে আব্বাস উদ্দীন খোকনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘর।

সরেজমিন দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন শান্তিপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধার বসত বাড়িসহ ৩জনের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তার খোলা আকাশের নিচে জীবন-যাপন করছে। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। এক পক্ষের দাবি আদালতের আদেশে বসতবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভাঙচুরের শিকার হওয়াদের দাবি আদালতের আদেশ হলে তো আমাদের নোটিশ দেবে। তা আমার পাইনি অথচ পুলিশ উপস্থিত থেকে আমাদের ঘর-বাড়ি ভেঙে দিলো। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় আদালত পুলিশ চেয়েছে এ ছাড়া আর কিছু নয়।