চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড়ের ভাড়াটে বাবুল ড্র্রাইভারের আত্মগোপন : নির্যাতিতা শাবানা অবশেষে হলেন লাশ

স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন ধরে অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করেও শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারলেন না এক সন্তানের জননী শাবানা খাতুন। মাত্র ১ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে রেখেই তাকে হতে হলো লাশ। গতপরশু বিকেলে দৌলাতদিয়াড় বঙ্গজপাড়াস্থ ভাড়ার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্য করেছে বলে তার স্বামী পক্ষের লোকজন দাবি করলেও পুলিশের সন্দহে এ মৃত্যুর আড়ালে রহস্য রয়েছে। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের দাগ রয়েছে।
গতপরশু বৃহস্পতিবার রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে মৃতদেহ নেয়া হয় তার পিতার বাড়ি দামুড়হুদার হেমায়েতপুরে। পিতার এ গ্রামেই দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। অপরদিকে স্বামী মেহেরপুর জেলা সদরের পিরোজপুর ইউনিয়নের বারাদী মোমিনপুরের বাবুল ড্রাইভার ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজতে শুরু করেছে। সে ট্রাক হেলপার নাকি চালক? নিশ্চিত করে জানা না গেলেও স্থানীয়দের অনেকেই বলেছেন, চালক বলে পরিচয় দেয়া বাবুল মাঝে মাঝেই তার স্ত্রীকে নির্মমভাবে নির্যাতন করতো। লাশ উদ্ধারের দিনে সকালেও তাকে মারধর করা হয়। শাবানা খাতুনের পিতা পক্ষের দাবি, তাকে মেরে হত্যার পর লাশ ঘরের আড়ায় ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে খুনি বাবুল পালিয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার হেমায়েতপুরের জাজার শেখের মেয়ে শাবানার সাথে ৪ বছর আগে বিয়ে হয় মেহেরপুর বারাদী মোমিনপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে বাবুলের সাথে। বিয়ের পর ৫০ হাজার টাকা যৌতুকও দিতে হয়। এ তথ্য জানিয়ে শাবানার পিতা পক্ষের অভিযোগ, বাবুল বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে মাধর করতো। টাকা দাবি করতো। এক বছরের এক সন্তানও রয়েছে এদের সংসারে। শিশু সন্তানের দিকে তাকিয়ে শত নির্যাতন সহ্য করেও বাঁচতে চেয়েছিলো শাবানা। কিন্তু বাঁচতে দিলো না ওই বাবুল। বাবুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই ইবনে খালিদ বলেছেন, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট প্রণয়ন করি। কিছুটা সন্দেহ থাকায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে নেয়া হয়। মায়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে হত্যার কারণ জানা যাবে।