চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড়ের দু পাড়ার মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধ

 

দু দল যুবকের তুমুল সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৯ জন আহত : উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড়ের দু পাড়ার দু দল যুবকের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। ক্রিকেট খেলে জেতা টাকা পাওয়া না পাওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংঘর্ষ হয়। দৌলাতদিয়াড়স্থ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে সংঘর্ষে তটস্থ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড় স্কুলপাড়া ও বাদালপাড়ার দু দল যুবকের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলায় দু পক্ষ সম্প্রতি ৫শ টাকা হারে দিয়ে এক হাজার টাকা গচ্ছিত করে। যে পক্ষ জিতবে সে পক্ষ পাবে পুরো টাকা। এ টাকা নিয়েই মূলত বিরোধের সূত্রপাত। স্থানীয়রা বলেছে, বাদালপাড়ার অদূরবর্তী মাঠে এ খেলায় বাদালপাড়া পরাজিত হয়। দাবি অনুযায়ী জয়ী স্কুলপাড়া পক্ষের পাওনা পরিশোধ না করলে বিরোধ দানা বাধে। পরশু স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি আপোশ করিয়ে দিলেও একপক্ষ অপরপক্ষকে কটাক্ষ করতে থাকে। এরই জের ধরে স্কুলপাড়ার রাজীবকে মারধর করা হয়। রাজীবের পক্ষের যুবকরা সংগঠিত হয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে অপরপক্ষের ওপর হামলা চালায়। বাধে তুমুল সংঘর্ষ। এতে এক পক্ষের তিনজন ও অপরপক্ষের ৬ জন আহত হয়। আহতদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। দু পক্ষই বাড়ি ফিরে আবারও সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহতরা হলো- ফায়ার স্টেশন ও স্কুলপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে রাজীব হোসেন (১৯), মৃত ছাত্তার ড্রাইভারের ছেলে জোনায়েদ (১৬) ও খাদেম আলীর ছেলে ডাবলু। অপরপক্ষের তথা বাদালপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের দু ছেলে সবুজ (১৭) ও শিপন (২০), ফণ্টু আলীর ছেলে জলু (৩০), আজিজুর রহমানের ছেলে সুইট (১৮), খোদাই মণ্ডলের ছেলে লাল মিয়া ও আইজদ্দিনের ছেলে সুজন। দু পক্ষ পাল্টা পাল্টি অভিযোগ তুলে থানায় নালিশ করেছে।