চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ের জায়গা প্রভাবশালীদের দখলে: চলছে বিভিন্ন অপকর্ম

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-বসতবাড়ি এমণকি মাদক ব্যবসা সবই চলছে চুয়াডাঙ্গার রেলওয়ের জায়গার ওপর। স্থানীয় প্রভাবশালীরা রেলের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব করছে। চোখের সামনে সরকারী জায়গা বেদখল আর অবৈধ ব্যবসা চললেও নির্বিকার রেল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন গেলে অনেকইে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান চুয়াডাঙ্গা ষ্টেশন ও মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকার সরকারি জায়গা জবরদখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রভাবশালী মহলের কিছু ব্যক্তিরা জমি দখল করে গড়ে তুলেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই নয়, চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। সেই সাথে রাতের আধারেও চলে বিভিন্ন অপকর্ম। রাত হলেই যেন শুরু হয় রম্যলীলার এক অভয়ারণ্য। অন্ধকারে চলে মদ, ফেন্সিডিল, হেরোইন ও ইয়াবার ব্যবসা। এছাড়াও রাতের আধারে ষ্টেশনের প্লাটফর্মের উপরেই চলে মহিলাদের দেহব্যবসা। এতে করে ধ্বংসের মুখে পড়ছে যুবসমাজ। আর অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে জমি দখলের এই প্রতিযোগিতা। সরকারি জায়গা বিক্রি, হস্তান্তর এমণকি লীজ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল। চুয়াডাঙ্গা ও মুন্সিগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকার মত অবস্থা আলমডাঙ্গা, মোমিনপুর,দর্শনাসহ জেলার আরও দশটি রেলওয়ে স্টেশনের।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ষ্টেশনের কর্তব্যরত ষ্টেশন মাষ্টার মিজানুর রহমান জানান রেলওয়ের জমি তাদের অন্তর্ভূক্ত নয়, রেল ভূমি অফিসের অন্তর্ভূক্ত বলে জানালেন ষ্টেশন মাষ্টার।
এদিকে একাধিকবার গিয়েও চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কোন কর্মকর্তার খোজ মেলেনি। অফিস কক্ষ তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে। রেলওয়ে এলাকায় মাদকব্যবসা ও অপকর্মের কথা অস্বীকার করলেন চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচাজ এস.আই জাফর আলী। অতএব এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত সমাধান করবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।