চুয়াডাঙ্গা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার ২২ মাস পার

পৃথক প্রস্তাবিত একাধিক আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্রে বন্দি
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী যুবলীগের চুয়াডাঙ্গা জেলা আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার ২২ মাসেও নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জেলা আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্র থেকে বিলুপ্ত ঘোষণার কয়েক মাসের মাথায় পৃথক দুটি কমিটি অনুমোদনের জন্য পৃথকভাবে কেন্দ্রে পেশ করা হয়। এ দুটির মধ্যে একটি ছিলো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশকৃত। শোনা যাচ্ছে সম্প্রতি আরও একটি আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কমিটি না থাকায় সাংগঠনিক কর্মকা-ে দীর্ঘদিন ধরেই স্থবিরতা বিরাজ করছে। দলীয় নেতাকর্মীদের অনেকেই এরকমই মন্তব্য করে বলেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা দামুড়হুদা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আজাদুল ইসলাম আজাদ সুপারিশ করে ২০১৬ সালের ১০ জুন ২১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্রে প্রেরণ করেন। প্রস্তাবিত এ আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদেরকে। যুগ্মআহ্বায়ক দুজন হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আসমান ও সরকারি কলেজের সাবেক জিএস রাশেদুজ্জামান বাকি। এ কমিটিতে প্রথম কার্যকরি সদস্য হিসেবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারকে রাখা হয়। অপরদিকে বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুকে আহ্বায়ক ও বিলুপ্তি কমিটির যুগ্মআহ্বায়ক চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিল্লুকেই যুগ্মআহ্বায়ক রেখে একটি কমিটি কেন্দ্র অনুমোদনের জন্য দেয়া হয়। সূত্রমতে এ কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্যসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আবেদীন খোকনসহ বেশকিছু নেতার সুপারিশ রয়েছে। প্রস্তাবিত দুটি কমিটির কোনটিই এখনও পর্যন্ত অনুমোদন পায়নি, উভয়পক্ষের প্রস্তাবিত কমিটির সংমিশ্রণে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়া হবে বলে প্রথম দিকে জোর গুঞ্জন ওঠে। কিছুদিনের মাথায় তা থিতিয়েও যায়। এর মাঝে আরও একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে দেয়া হয়েছে বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও যুগ্মআহ্বায়ক শামসুজ্জোহা হাসুকে রাখা হয়েছে বলে খবর ছড়ালেও দায়িত্বশীল কারো নিকট থেকে তার সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। অনেকেই বলেছেন, সব রকমই তো আমরা শুনছি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে ২০১৫ সালের শেষের দিকে ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুকে আহ্বায়ক করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। এ কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুত করারও নিদের্শনা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু কিছুদিনের মাথায় ডিঙ্গেদহের যুবলীগ নেতা আজিজুল খুন হলে আহ্বায়ক কমটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ওই সময় অবশ্য নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারকে আহ্বায়ক করে প্রস্তাবিত কমিটি অনুমোদনের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হচ্ছে মর্মে জোর গুঞ্জন ওঠে। যুবলীগের জেলা আহ্বায়ক কমিটি কবে নাগাদ অনুমোদন পেতে পারে এরকম এক প্রশ্নের জবাবে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক জিএস রাশেদুজ্জামান বাকী বলেছেন, শুনছি খুব শিগগিরই অনুমোদন মিলবে। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে প্রকৃত রাজনীতিকদেরই মূল্যায়ন প্রত্যাশা করি। রাজনীতির বাইরের নেতৃত্বে আসুক তা দলীয় নেতাকর্মীদের কেউ নিশ্চয় আসা করে না। আমরা সঠিক মূল্যায়নের আশায় অপেক্ষার প্রহরগুণছি।