চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে গণহত্যা দিবস পালিত

সাম্প্রদায়িকতা রুখে দেয়ার প্রত্যয়

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: জাতীয় সংসদে স্বীকৃতির পর এবারই প্রথম ২৫ মার্চ জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ। মশাল প্রজ্জ্বলন, আলোর মিছিল, বিভীষিকাময় সেই কালরাতের স্মৃতিচারণ আর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শনিবার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে ২৫ মার্চ ভয়াল কালরাত্রি স্মরণে নানা অনুষ্ঠানমালার। সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য ও নতুন প্রজন্মের হাতের হাজারো প্রজ্জ্বলিত মোম থেকে ছড়িয়ে পড়া আলোতে আলোকিত হয়ে উঠেছিলো সারাদেশ।

গণহত্যা দিবসের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যেকোনো মূল্যে রুখে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। দিবসটি পালনে আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি ছিলো প্রচণ্ড। পাকি হন্তারকদের ঘৃণা-ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে পরাজিত পাকিস্তানের নতুন ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গবেষক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। একাত্তরের গণহত্যার কথা এখনও অস্বীকার করে পাকিস্তান। বাঙালীর জাতির আত্মপরিচয় ও মর্যাদার ইতিহাস প্রতিষ্ঠার জন্য এবং মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যাচারের জবাব দিতেই ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নিহত শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ করার মধ্যে দিয়ে গণহত্যা দিবসের আলোচনা ও বই বিতরণের আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করা ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন জাগ্রত চেতনায় চুয়াডাঙ্গা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুন এমপি।  বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক আহমেদ পিপুল। সংগঠনের আহ্বায়ক সাইফুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে এবং ডুসাকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন মিজি সঞ্চলনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির সভাপতি কাজী সিরাজুল হক, অ্যাড মো. আবু তালেব, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরেফিন সিদ্দিক, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি রুবাইত বিন আজাদ সুস্থির, ডুসাকের সাবেক সভাপতি নাঈমুল হক রিংকু, জীবননগর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আল মামুন রনি, তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের মমিনুল ইসলাম আবির, সাকিবুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা শাহিনুল ইসলাম সুমন, ঢাকা ইউনিভার্সিটির কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি ফরিদা পারভীন।

চুয়াডাঙ্গায় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবপ্রসাদ পাল। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. শামসুজ্জোহা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আনজুমান আরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক। সভায় ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী হানাদারদের বর্বরতা সম্পর্কে আলোচনা করেন অতিথিবৃন্দ। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা। সন্ধ্যা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ হাসান চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবপ্রসাদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আনজুমান আরা প্রমুখ।

জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করে। পরে সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শোকর‌্যালি বের করে। র‌্যালি শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে এসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন. সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শামসুজ্জোহা পিপি, অ্যাড. আব্দুল মালেক, মাসুদ উজ্জামান লিটু বিশ্বাস, অ্যাড. নুরুল ইসলাম, ফেরদৌস ওয়ারা সুন্না, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিমসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ গণহত্যা দিবস-২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সরকারি কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ প্রামাণিক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আতিয়ার রহমান ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক মনিরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।

চুয়াডাঙ্গা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১০টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিজস্ব মিলনায়তনে এসব অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার ভারপ্রাপ্ত বেলায়েত হোসেন ও জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম। ফিল্ড অফিসার মজিবর রহমানসহ ইমামগণ, ওলামা-মাশায়েক ও মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষার শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ওলামা ও মাশায়েকদের অনেক ভূমিকা ছিলো। বর্তমানে দেশের কাজে এবং উন্নয়নে ওলামা সমাজ এগিয়ে আসবেন এ আশা করি।

জাতীয় গনহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের অয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ভয়াল কারো রাত্রি ও বর্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক দ্যা অপারেশন সার্চলাইট পরিচলানা করে নিরীহ বাঙালিদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে যে গণহত্যা চালিয়েছিলো তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। মাদরাসা অধ্যক্ষ আলহাজ্জ মাও. মীর মো: জান্নাত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল হাশেম ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক আবু যায়েদ আনসারী। আলোচনা শেষে ২৫ মার্চের ভয়াল কালো রাতে পাক বাহিনী কর্তৃক নির্মমভাবে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ আলহাজ্জ মাও.মীর মো:জান্নাত আলী। এদিকে রেলবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় গনহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লতিফুনছোর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার।

গতকাল গণহত্যা দিবস ২০১৭ উপলক্ষে অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন, চুয়াডাঙ্গা মোমবাতি র‌্যালি প্রদর্শন করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ঘাতক পাকিস্তানী জান্তারা গভীর রাতে নিরীহ নিরোপরাধ বাঙালীদের উপর অতর্কিতে ঝাপিয়ে পড়ে এবং নির্মমভাবে হত্যা করে শ্রমিক, কুলিমজুর, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক তথা বুদ্ধিজীবীদের। জাতির এই কলংকজনক ইতিহাস-এর স্মমরণে অরিন্দম সাংস্কৃতিক সংগঠন-এর সদস্যবৃন্দ অরিন্দম কার্যালয় হতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন সহকারে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহীদ স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে সমাপ্ত করে।

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: রহমান। বক্তব্য রাখেন এসএমসি,র সদস্য শওকত আলী, তাহাজদ্দিন, সাইফুদ্দিন, শিক্ষক বাবুল হোসেন, মাহবুবুর রহমান, লোকমান। এর আগে সকাল ৮টায় বালিকা বিদ্যালয়ের একটি শোকর‌্যালি ডিঙ্গেদহ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। সন্ধ্যা ৭টায় মোমবাতি প্রজ্জলন এর মাধ্যমে একটি শোকর‌্যালি ডিঙ্গেদহ বাজার প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে গণহত্যার স্বীকার নারী, পুরুষ ও শিশুদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ডিঙ্গেদহ অঞ্চলের বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, উদীচী জাতীয় পরিষদের সদস্য আব্দুর ছাত্তার, ডিঙ্গেদহ শাখার সভাপতি ডা. আব্দুর হান্নান, সেক্রেটারি আবু সাইদ বিশ্বাস, সাইফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শুকত আলী প্রমুখ।

বদরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বদরগঞ্জ বাকীবিল্লাহ কামিল মাদরসার জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অধ্যক্ষ মুহা. মাও. আব্দুল জলিল হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম, সহকারী ইংরেজি শিক্ষিকা মো. সারমিন আরা, মো. আনোয়ার হোসেন, কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ আবুল কালাম, মাহাবুবব রহমান, দাউদ হোসেন ও দোয়া পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক মাও. মতিন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ড. রুহুল আমিন মুহাদ্দিস।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, এই উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আলমডাঙ্গা বধ্যভূমিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আলামডাঙ্গা থানা পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় সেখানে। এর পরে ’৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে বীর শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

পরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে  ২৫ ই মার্চ গণহত্য দিবস-২০১৭  উপলক্ষে আলোচনাসভা, গীতিনাট্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়াদ্দার সুলতান, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ডা. সাহবুদ্দিন আহম্মেদ সাবু, জেলা জাসদের আহ্বায়ক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহম্মদ জকু, ওয়াজেদ আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর  রহমান অরুন, সহকারী ভূমি কমিশনার আল ইমরান, ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ কাফি, অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন। সমাজসেবা অফিসার আবু তালেবের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন ওসি (তদন্ত) মেহেদী রাসেল, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবর আলী, নির্বাচন অফিসার আবু আনসার, একটি বাড়ি একটি খামারের সমন্বয়কারী আনোয়ার হোসেন, মাধ্যমিক সুপার একাডেমিক সুপারভাইজার ইমরুল হোসেনসহ আরো অনেক। পরে আলমডাঙ্গা কলেজিয়েট স্কুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

অপরদিকে আলমডাঙ্গা পৌর জাসদের উদ্যোগে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে কালো পতাকা মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় উপজেলা চত্বর থেকে কালো পতাকা মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এরশাদ মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় পৌর জাসদের সভাপতি মিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাসদের সভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জাসদের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান,পৌর জাসদের সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর ডালিম হোসেন, জেলা জাসদের প্রচার সম্পাদক লাভলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কোরবান আলী প্রমুখ। সন্ধ্যায় দিবসটি উপলক্ষে শোকর‌্যালি, বধ্যভূমিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ও সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।  উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় হতে শোকর‌্যালি বের হয়ে বধ্যভূমিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী হারদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা, সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী খালেদুর রহমান অরুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, আবু সাঈদ পিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা আহসান মৃধা, মাসুদ রানা তুহিন,প্রমুখ। সন্ধ্যায় বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান, উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর  রহমান অরুন, সহকারী ভূমি কমিশনার আল ইমরান, আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন, সমাজ সেবা অফিসার আবু তালেব প্রমুখ।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, সকালে দর্শনা পৌর আ. আলীগের কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও শোক পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিকালে অনুষ্ঠিত শোকসভা শেষে মোমবাতি মিছিল বের করা হয়। আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আয়োজনে আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন, দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি। আলোচনা করেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আসাদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা মোমিনুল ইসলাম, মোতালেব খান, বিল্লাল হোসেন, যুবলীগ নেতা আ. হান্নান ছোট, আজিজুর রহমান বাবু, শেখ আসলাম আলী তোতা সোলায়মান কবির, ইকবাল হোসেন, মান্নান খান, মামুন শাহ, ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ পারভেজ, তোফাজ্জেল হোসেন তপু, আলামিন, লোমান, প্রভাত, রায়হান, মোহাম্মদ প্রমুখ।

এদিকে সন্ধ্যায় দর্শনা রেলবাজারের ফুলতলা চত্বরে অনুষ্ঠিত পৌর আ.লীগের আরো একটি শোকসভার সভাপতিত্ব করেন, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। আলোচনা করেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবে প্রশাসক, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড শহিদুল ইসলাম, সৈয়দ মজনুর রহমান, রুস্তম আলী, এরশাদ আলী মাস্টার, জাহাঙ্গীর আলম লুল্লু, আ. বারী, সিরাজুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান হাবু, ইদ্রিস আলী, শিক্ষক নেতা স্বরুপ কুমার দাস, যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান, ইমরাণ, ছাত্রলীগ নেতা বাকী বিল্লাহ, নাজিম প্রমুখ। দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে সকাল ১০টার দিকে কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত স্মরণসভার সভাপতিত্ব করেন, পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। আলোচনা করেন, দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শহিদুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, শিক্ষক হারুন অর রশিদ, আরতি হালসনা, স্বরুপ কুমার দাস, আ. হামিদ, হাসমত মাস্টার প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় জাতীয় গনহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুর রহমান খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা, সমাজসেবা অফিসার ছানোয়ার হোসেন, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপসহকারী প্রকৌশলী (দুর্যোগ) নুরুজ্জামানসহ উপজেলার বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিগণ। সভায় শহীদদের রুহের মাগরেফাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং ২৫ মার্চ দিনটি আর্ন্তজাতিকভাবে বিশ্ব গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নাজির হামিদুল ইসলাম। এদিকে দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে দিবসটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ জিন্নাত আলী, গর্ভনিং বডির সদস্য দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, যুগ্মসম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন, আশরাফুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রভাষক মিল্টন কুমার সাহা।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ দিবসের আলোচনাসভায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রে পাকিস্তানী বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের ভয়াল চিত্র তুলে ধরা হয়। দাবি জানানো হয় এ দিনকে বিশ্ব গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিষংঘের স্বীকৃতির। উপজেলার ৪টি কলেজ, ২৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাদরাসা ও ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়। এ উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফল অমল। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সামসুল আলম ছাত্তার, সাবেক কমান্ডার নিজামউদ্দিন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তূজার সভাপতিত্বে বিকেলে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বজলুর রহমান, আলী আহাম্মদ, সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা, বাঁকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাখাওয়াৎ হোসেন ফরজ, আওয়ামী লীগ নেত্রী পৌর কাউন্সির রিজিয়া খাতুন, রেনুকা আক্তার রিতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মিতা খাতুন প্রমুখ।

অপরদিকে শহরের ইসলামী মার্কেটে আওয়ামী লীগের ছেলুন জোয়ার্দ্দার গ্রুপ আলোচনাসভা ও মোমবাতি প্রজ্বলনের আয়োজন করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন মিয়া। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন, আব্দুর রহমান, যুবলীগ নেতা শামীম ফোরদৌস, আকিমুল ইসলাম, মহিবুল ইসলাম, প্রজন্ম লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম, পলাশ প্রমুখ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল মল্লিক।

হাসাদাহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হাসাদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাসাদাহ মডেল ফাজিল মাদরাসা, হাসাদাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অপরদিকে জেলা পরিষদের ১৪ নং ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল আলম নান্নুর নিজ দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান ও দোয়ার অনুষ্ঠানের করেন। উপস্থিত ছিলেন আব্দুল খালেক মাস্টার, খলিলুর রহমান, আফজালুর রহমান চুন, সম্রাট শাহাজাহানসহ এলাকার সর্বসাধারণ জনগণ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল শনিবার সকালে যথাযোগ্য মর্যাদায় (২৫ মার্চ-২০১৭) গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ। অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হালিম, আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, উপদেষ্টা আলহাজ আসকার আলী ও সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রশিদুল মান্নাফ কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে  বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি রফিকুল আলম, সাংবাদিক রশিদ হাসান খান, ক্রীড়া সংগঠক আনোয়ারুল হক শাহী প্রমুখ। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এদিকে বেলা ১১টায় মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের হলরুমে অধ্যক্ষ মহা. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ, প্রভাষক মফিজুর রহমান, আব্দুস সাত্তার, সহকারী শিক্ষক মোখলেছুর রহমান, আব্দুল ওহাব, এসএম হাসানুজ্জামান, রাকিবুজ্জামান প্রমুখ। পরে সেখানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। ধর্মীয় শিক্ষক মাও. জহিরউদ্দিন দোয়া পরিচালনা করা হয়।

এদিকে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে শোকসভা ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কুদরত ই-খোদা রুবেলের নেতৃত্বে শহীদ রেজাউল চত্বরে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের কলেজ মোড় প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহীদ রেজাউল চত্বরে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কুদরত-ই খোদা রুবেলের সভাপতিত্বে শোকসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম তারিক, যুগ্ম-সম্পাদক দুলাল মাহমুদ, শহর ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলমগীর হোসেন, সদস্য শোভন সরকার প্রমুখ। এ সময় সেখানে জেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল বাসেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাব্বারুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক সেতু, ছাত্রলীগ নেতা আসিফ, বায়োজিত, নাহিদ, আবির, তুহিন, রাজু প্রমুখ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর গাংনীতে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে জাতীয় গণহত্য দিবস। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সেলিনা আখতার বানু। বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুনতাজ আলী, মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাংগঠনিক কমান্ডার আমিরুল ইসলাম, গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, মেহেরপুর জেলা পরিষদের সদস্য মজিরুল ইসলাম, গাংনী প্রেসক্লাব সভাপতি রমজান আলী ও উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকবাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের বক্তারা।

এদিকে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সেলিনা আখতার বানুর উদ্যোগে গাংনীস্থ কার্যালয়ে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালন করা হয় জাতীয় গণহত্যা দিবস। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের ভিডিওপ্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা এমপি সেলিনা আখতার বানু। উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা মাসুদ পারভেজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ হাসিব, জেলা ছাত্রলীগ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সজিব আহম্মেদ, ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক সজল আলী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাগর আহম্মেদ ও ছাত্রলীগ নেতা ডলার শাহ প্রমুখ।

এদিকে বিকেলে গণহত্যা দিবস পালনে গাংনীতে র‌্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মেহেরপুর জেলা শাখা। গাংনীস্থ কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টি পলিট ব্যুরো সদস্য নুর আহমেদ বকুল। সভাপতিত্ব করেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড আব্দুল মাবুদ। উপস্থিত ছিলেন কমরেড উমর ফারুক, তৈয়ব আলী, মজনুল হক মজনু, হাসেম আলী, বিপ্লব হোসেন ও হাসানুজ্জামানসহ বিভিন্ন ইউনিট নেতৃবৃন্দ।