চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ সারাদেশে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু

প্রথম দিনে সারাদেশে অনুপস্থিত ৪৬ হাজার : ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

 

স্টাফ রিপোর্টার: জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের কারণে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ দিন পর গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থেকেই শুরু হয়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দেশের দুই হাজার ৬১৭টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়। তবে প্রথম দিনেই সারা দেশে অনুপস্থিত ছিল ৪৬ হাজার ৪০ জন। আর পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে মোট পাঁচজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় জেএসসি’র বাংলা প্রথমপত্র ও জেডিসি’র কুরআন মজিদ ও তাজবিদ। মোট অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১২ হাজার ৭৩৮, রাজশাহীতে ৩২৯০, কুমিল্লায় ৩৫৪২, যশোরে ৩৪৯৭, চট্টগ্রামে ২৯৫, সিলেটে ১৮৩২, বরিশালে ২২০৫, দিনাজপুরে ২৫৯৮ জন এবং মাদ্‌রাসা বোর্ডে ১৪ হাজার ২৪৩ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। আর বহিষ্কৃতদের মধ্যে এক জন ঢাকা বোর্ডে ও চার জন মাদ্‌রাসা বোর্ডের শিক্ষার্থী। এবার জেএসসিতে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৫ জন ও  জেডিসিতে তিন লাখ ২৬ হাজার ৯৭ জন পরীক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা ছিলো।

চুয়াডাঙ্গায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পরীক্ষার প্রথম দিনে ৩৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি। এর মধ্যে জেএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথমপত্রে ৩০২ জন ও জেডিসি কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষায় ৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি। তবে এ পরীক্ষায় কেউ বহিষ্কৃত হয়নি। পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বেশ কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়েছে পরিদর্শন টিমের। পরবর্তী পরীক্ষা আগামীকাল রোববার। জেএসসিতে গণিত/সাধারণ গণিত এবং জেডিসিতে ইংরেজি ১মপত্র অনুষ্ঠিত হবে।

চুয়াডাঙ্গায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় পরিদর্শনের জন্য দুটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের টিম চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা কেন্দ্রসমূহ এবং দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার কেন্দ্রসমূহের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের টিম পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুবের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন, এনটিভি প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও প্রথম আলো প্রতিনিধি শাহ আলম সনি পরিদর্শন টিমের সাথে ছিলেন। পরীক্ষা কেন্দ্রসমূহ ঘুরে বেশ বিছু কেন্দ্রে অসঙ্গতি পরিদর্শন টিমের চোখে পড়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- চুয়াডাঙ্গার কোনো কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের খাবার পানির ব্যবস্থা নেই, পরীক্ষা রুমে অন্ধকার থাকলেও আলোর ব্যবস্থা নেই, চুয়াডাঙ্গা একাডেমী বিদ্যালয়ে প্রাইমারি স্কুলে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের ছোট বেঞ্চে বসে পাঁচটি রুমে পরীক্ষা দিতে অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসায় প্রবেশ পথে দুটি সাইনবোর্ড টানিয়ে রাখার কারণে পরিদর্শন টিমের গাড়ি প্রবেশে বাধার সম্মুখিন হতে হয়েছে, তেমনি অন্ধকার থাকলেও বৈদ্যুতিক বাতি লাগানোর কোনো পয়েন্ট মাদরাসা দোতলা ভবনে স্থাপন করা হয়নি। ফলে অন্ধকারে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে। এ ব্যাপারে পরিদর্শন টিম তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন।

চুয়াডাঙ্গায় জেলায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় ১৬টি কেন্দ্রে ১১ হাজার ৯৮৮ জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণের কথা থাকলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১১ হাজার ৬৮৬ জন। পরীক্ষার অনুপস্থিত ছিলো ৩০২ জন। অপরদিকে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাঁচটি কেন্দ্রে ১ হাজার ৬০৫ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা থাকলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১ হাজার ৫১২ জন। পরীক্ষায় ৯৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো। চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ২৪ জন, আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৭২ জনের অনুপস্থিত ২৬ জন, দামুড়হুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৪৭ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ১৯ জন, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮০৬ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ১৫ জন, জীবননগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৫৪ জনের মধ্যে ২১ জন অনুপস্থিত, মুন্সিগঞ্জ একাডেমী কেন্দ্রে ৯৩৬ জনের মধ্যে ১৮ জন অনুপস্থিত, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৩৫ জনের মধ্যে ৬১ জন অনুপস্থিত, সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৯৭ জনের মধ্যে ১৬ জন অনুপস্থিত, কার্পসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৭২ জনের মধ্যে ২৬ জন অনুপস্থিত, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৮৮৪ জনের মধ্যে ১৪ জন অনুপস্থিত, হাটবোয়ালিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৭৬ জনের মধ্যে ৮ জন অনুপস্থিত, আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৯৫ জনের মধ্যে ৮ জন অনুপস্থিত, হাসাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৯৭ জনের মধ্যে ৮ জন অনুপস্থিত, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৭৩ জনের মধ্যে ৮ জন অনুপস্থিত, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩০২ জনের মধ্যে ১২ জন অনুপস্থিত ও দামুড়হুদা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৮১ জনের মধ্যে ১৮ জন অনুপস্থিত ছিলো।

অপরদিকে জেডিসি পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৩৩০ জনের মধ্যে ১৮ জন অনুপস্থিত, জীবননগর আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ২৯৬ জনের মধ্যে ১০ জন, দামুড়হুদা ডিএস দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৩৩২ জনের মধ্যে ২৪ জন অনুপস্থিত, আলমডাঙ্গা সিদ্দিকিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ৩৪৪ জনের মধ্যে ২৬ জন অনুপস্থিত ও কার্পসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৩০৩ জনের মধ্যে ১৫ জন অনুপস্থিত ছিলো।

জামজামি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার পাইলট বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কেন্দ্রে ৯১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৭২ জন অংশ নেয়। ৪ জন ছাত্র ও ২২ জন ছাত্রীসহ অনুপস্থিত ছিলো। কেন্দ্র সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন ওসমানপুর-প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল গনি। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব রয়েছেন আলমডাঙ্গা পাইলট বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম খান। সহসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাইকপাড়া জনকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ তহিদুর ইসলাম।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, যশোর শিক্ষাবোর্ডের আওতায় জেএসসি পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪ হাজার ২১২ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ২ হাজার ৫১৮ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ২ হাজার ৫৩৫ জন এবং জীবননগর উপজেলার ২ হাজার ১৪৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের আওতায় জেডিসি পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলায় ১ হাজার ৬২৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩৩৩ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৪৫ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৬৪৪ জন ও জীবননগর উপজেলায় ৩০৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল (নবম শ্রেণির ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ১ হাজার ৪৪৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৫২১ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১২৭ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ২২০ জন শিক্ষার্থী ও জীবননগর উপজেলায় ৩৭২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

এদিকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এক কক্ষ পরিদর্শককে বরখাস্ত করেছেন কেন্দ্র সচিব। গতকাল শুক্রবার জেএসসি পরীক্ষা চলাকালে দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল কেন্দ্রের ২০২ নং কক্ষের পরিদর্শক দামুড়হুদার কলাবাড়ি-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বশির উদ্দিনকে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সকল পরীক্ষার পরিদর্শক থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহার নির্দেশে কেন্দ্রসচিব দামুড়হুদা পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম তাকে বরখাস্ত করেন।

ভ্রাম্যমা/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গা কেন্দ্রে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রথম দিন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৬ জন অনুপস্থিত ছিলো। অপরদিকে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া (বিএ) ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ৩০৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫ জন অনুপস্থিত ছিলো।

 

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় জীবননগর উপজেলা থেকে এবার ২ হাজার ২১৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে জেএসসি পরীক্ষায় উথলী বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র হতে ২৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে এবং প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ৮ জন শিক্ষার্থী, মনোহারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ৩০২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে এবং প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ১২ জন শিক্ষার্থী, হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র হতে ২৯৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে এবং প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ৮ শিক্ষার্থী, আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে এবং প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ৮ শিক্ষার্থী, জীবননগর পরীক্ষা কেন্দ্রে ৬৫৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে এবং অনুপস্থিত ছিলো ২১ জন এবং জেডিসি জীবননগর আলিম মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে ২৯৬ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে এবং অনুপস্থিত ছিলো ১০ জন শিক্ষার্থী। গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে ৯৭৫ জন, গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৯০, বামন্দী-নিশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে ১ হাজার ২৯৬ জন ও জুগিরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩শ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা পরিদর্শন করেন সংরক্ষিত মহিলা এমপি সেলিনা আখতার বানু ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব আশরাফুজ্জামান লালু ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ জাকির হোসেন। এবারই গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও জুগিরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র হিসেবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চারটি কেন্দ্রে ২ হাজার ২৮৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো ৮৩ জন। এদিকে পরীক্ষা চলাকালে উপজেলার প্রিয়নাথ স্কুল, পাইলট স্কুল, জোড়াদাগ স্কুল ও আলিম মাদরাসা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ। কেন্দ্রে কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন তারা।

ডাকবাংলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা উত্তর নারায়ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেএসসি ও মাদরাসায় অনুষ্ঠিত জেডিসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা ঝিনাইদহ প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবা-উল করিম উপস্থিত ছিলেন। তিনি উত্তর নারায়ণপুর মূলকেন্দ্র মাদরাসা এবং সাবকেন্দ্র আ. রউফ ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন। গতকাল ১ হাজার ২৭৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৩ জন অনুপস্থিত ছিলো। এছাড়া জেডিসি পরীক্ষায় ২১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন অনুপস্থিত ছিলো বলে ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিব মো. নজরুল ইসলাস জানান।

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখি মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র দুটিতে ৩৯৫ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৮ জন অনুপস্থিত ছিলো। মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ও মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা প্রাথমিক উপসহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাফিজ কেন্দ্র দুটি পরিদর্শন করেন।