বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

অন্তর্দ্বন্দ্ব ভুলে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে শামিল হোন : উৎখাত করুন অবৈধ সরকার

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে তিন দিনেরকর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। প্রতিষ্ঠা দিবসে গতকাল কর্মসূচির মধ্যে ছিলো জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভা। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বিএনপির দু পক্ষ পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করেছে।

ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে ভোরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে  মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও স্বেচ্ছায়রক্তদান। বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সকাল সোয়া ১১টার দিকে দলের সিনিয়র নেতাদেরনিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজানান। পরে মোনাজাত ও ফাতেহা পাঠ করেন। এসময় তার সাথে দলটির ভারপ্রাপ্তমহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদআহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, এমকে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাসপ্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধানিবেদনের পর জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, মহিলাদল, মত্সজীবীদল, তাঁতীদল, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসসহবিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।

ঢাকায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, সরকারকে হটাতে হলেনিজেদের মধ্যে বিভেদ দ্বন্দ্ব ভুলে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আলোচনাও আন্দোলন একসঙ্গে চলতে পারে না। দেশের জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসেউঠেছে। বক্তারা বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে জনগণের সমর্থন দরকার। পাশাপাশি এই আন্দোলনেরলক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও  দর্শন জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।ঐক্য গড়ে জনগণকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন তীব্রতর করে অবৈধ সরকার উৎখাত করতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। গতকাল সোমবার দিনব্যাপি কর্মসূচির শুরুতে কেদারগঞ্জস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের নেতৃত্বে সকাল ১১টায় জেলা সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে থেকে ৱ্যালি চুয়াডাঙ্গা শহর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন- যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা প্রমুখ।

সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, এ স্বৈরাচারী সরকার ৫ জানুয়ারি তামাশার নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে ডিজিটাল বাকশাল কায়েম করে দেশজুড়ে বিরোধদলীয় নেতাকর্মীদেরকে খুন, গুম এবং নির্যাতন করছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সকল দ্বিধা ও বিভক্তি ভুলে এ স্বৈরাচারী সরকারের পতনের জন্য দুর্বার গণআন্দোলন চুয়াডাঙ্গার মাটি থেকেই শুরু করতে হবে। তিনি সরকারের উদ্দেশে আরো বলেন, অবিলম্বে সংবাদপত্রের কালো আইন এবং বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের ওপর ন্যাস্ত এ আইন বাতিল করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি অনুযায়ী দেশকে পরিচালনা করতে হবে।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের ৱ্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজ চত্বর থেকে বের হওয়া ৱ্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্বাধীনতা স্তম্ভ চত্বরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার সোনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসিরুল ইসলাম সেলিম, পৌর বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সভাপতি ছানোয়ার হোসেন লাড্ডু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সরদার আলী হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য এমদাদুল হক ডাবু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুর রহমান। পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টুর উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ইলিয়াস আহম্মেদ সিদ্দিক, রেজাউর রহমান রেজু, হাসানুজ্জামান হাসান, তবারক হোসেন, আমিনুল হক রোকন, মিনাজ, আজিবার রহমান, আইনুল হক, মোশারেফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ঝন্টু মালিতা, নুরু ইসলাম, ইউনুস, কামাল হোসেন, হ্যাবা, শিহাব, হাসিবুল, নাসির কাউন্সিলর, মিল্টন মল্লিক, ফরহাদ হোসেন, মামুন অর রশিদ, মামুন, চমক, মিন্টু, হাজী মুসা, গোলাম বিশ্বাস, বরকত, ওল্টু, লালচাঁদ, ঝন্টু, মোবারক হোসেন, রনি রইদুল, ছাত্রদল নেতা আলা, তরিকুল, আকাশ, বাপ্পী, ফারুক প্রমুখ।

খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা বলেন, ১৯৭৮ সালে আজকের দিনে জাতির প্রয়োজনে, ইতিহাসের প্রয়োজনে, সময়ের প্রয়োজনে জাতীয়তাবাদী দলের জন্ম হয়েছিলো। মাত্র ১ বছর যেতে না যেতে ’৭৯ সালে সকল দলের অংশ গ্রহণে যে নির্বাচন হয়েছিলো, সে নির্বাচনে ২০৭ আসন পেয়েছিলো ১ বছর বয়স্ক বিএনপি। মাত্র ৩৯ আসন পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক। জীবিত জিয়ার চেয়েমৃত জিয়া অনেক শক্তিশালী। জিয়াই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন। তাকে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। অথচ দেশে ফেরার ১৫ দিনের মধ্যে তিনি শহীদ হন। এখন ইতিহাসকে কলঙ্কিত করতে চায়। শেখ হাসিনার সাথে রয়েছে এখন বিশ্ব বেহায়া এরশাদ। জাসদের গণবাহিনির নায়ক শেখ মুজিব হত্যা ষড়যন্ত্রের নায়ক হাসানুল হক ইনু। আজকের এ ভোটচোর, লুটেরা গণতন্ত্র হত্যাকারীকে আমরা আর দেখতে চায় না। আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ওই গদি থেকে নামিয়ে আনবো।

প্রধান অতিথি অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, শেখ মুজিবের রাজনীতির ধ্বংসস্তূপ থেকে বিএনপির গণতান্ত্রিক রাজনীতির শুভ সূচনা। বাকশালের প্রেতাত্মারা নতুন করে আবার শেখ হাসিনার কাঁধে চেপে বসেছে। শেখ হাসিনা আবারও দেশে বাকশাল কায়েমের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শহীদ জিয়া ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের নায়ক। তিনি বাকশালের প্রেতাত্মাকে যেভাবে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছিলেন, একইভাবে আমাদেরকেও বাকশালের মোকাবেলা করতে হবে।

অপরদিকে সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আলমডাঙ্গা উপজেলার বিদ্রোহী গ্রুপের উদ্যোগে বিএনপির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৱ্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিএনপির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৱ্যালি হাজি মোড়স্থ বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপের কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কার্যালয়ের সামনে আলোচনাসভা করেন। আলোচনাসভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শহিদুল কাউনাইন টিলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব মীর মহিউদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মীর ইসমাঈল, নাসির উদ্দিন নান্নু, ইসরাফ হোসেন, রেজাউল হক, আয়ুব হোসেন প্রমুখ। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির নেতা মহিনুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, আমজাদ হোসেন, আলী হোসেন, ডা. আলাউদ্দিন, ইউসুফ মিয়া, আব্দুল লতিফ, লিয়াকত আলী, আকতার আলী, রশিদ মিয়া, আতিয়ার জোয়ার্দ্দার, মফিজ উদ্দিন, আকরাম, বাবলু, জিল্লুর রহমান, মঈনদ্দীন, জহুরুল, মহির উদ্দিন, মহাবুল, উপজেলা যুবদল নেতা মাগরিবুল রহমান, ওহিদুল ইসলাম, ডালিম, নাসির উদ্দিন রাজা, খাইরুল, শফিউদ্দিন, মঞ্জু, ছাত্রদল নেতা তৌফিক খান, লিমন, রানা, রহিদ শওকত সজীব প্রমুখ।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য ৱ্যালি, আলোচনাসভা ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৱ্যালির নেতৃত্ব প্রদান করেন জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক বিশিষ্ট শিল্পপতি মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু।

জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান কবির, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান খোকন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শাহজাহান আলী, সাধারণ সম্পাদক বদর উদ্দিন বাদল, বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুল খালেক, হাসাদাহ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, আতিয়ার রহমান, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, আব্দুর রশিদ, পৌর কাউন্সিলর কাজি নাসির ইকবাল ঠাণ্ডু, পৌর কাউন্সিলর নবী শাহ্, মুন্সী মোহাম্মদ আলী সান্টু, শফিউদ্দিন, রবি সর্দার, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল আলিম, হাজী রমজান আলী, তরিকুল ইসলাম তারা, যুবনেতা দ্দোজা উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, আরিফ, আজমত আলী, মনির, মিনাজুল, মিঠু ইঊনুছ আলী, ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন, সুমন প্রমুখ।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল করেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপি। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ভয় পায় না। নেতাকর্মীদের মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে ঘরে বন্দি রাখার ষড়যন্ত্র সফল হবে না। দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। তাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার আহবান জানান তিনি।

উপজেলা বিএনপি সভাপতি রেজাউল হকের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা চেয়ারম্যান মোরাদ আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো, পৌর বিএনপি সভাপতি ইনসারুল হক ইন্সু, যুগ্ম সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা যুবদল সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বুলবুল, বামন্দি ইউপি বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রাহিদ বিশ্বাস, পৌর যুবদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ হীল মারুফ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মাস্টার, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দাল হক ও উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আলোচনাসভা শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাও. রুহুল আমিন।

এর আগে সকাল সাতটার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলন করে দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি সভাপতি ইনসারুল হক ইন্সু, উপজেলা যুবদল সভাপতি আক্তারুজ্জামান, উপজেলা বিএনপি দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মাস্টারসহ নেতৃবৃন্দ।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার সকালে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

বিকেল ৪টার দিকে হরিণাকুণ্ডু শহরের প্রিয়নাথ স্কুল মাঠ থেকে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে শোভাযাত্রা বের হয়। পরে প্রিয়নাথ স্কুলমাঠে আলোচনাসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।পৌর বিএনপির সভাপতি জিন্নাতুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হরিণাকুণ্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কাশেম, যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক, আবুল হাসান মাস্টার, জমির উদ্দীন মোল্লা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব রনক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপ্পু, সাবেক ছাত্রনেতা আশরাফুল ইসলাম পিন্টু বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বিএনপি নেতা মসিউর রহমান বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচিত এ সরকার সারাদেশে এক একটি জায়গায় এক একজনকে গডফাদার বানিয়েছে। এই অবৈধ সরকারের দেশপ্রেম বলে কিছু নেই। তারা শুধু চেনে টাকা আর ক্ষমতা। তিনি বলেন, এখন থেকে বিএনপি আর ঘরে বসে থাকবে না। যেখানেই বাঁধা আসবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

মসিউর বলেন, আওয়ামী লীগ নীতিমালা প্রণয়ন করে গণতন্ত্রের মুখপাত্র গণমাধ্যমকে ধ্বংস করে দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশে যে এখনো সচেতন মানুষ আছে তার প্রমাণ নীতিমালার বিরুদ্ধে সম্প্রতি সম্পাদকদের প্রতিবাদ থেকেই পাওয়া যায়। বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। গতকাল সোমবার সকাল ১২টার দিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পৌর কমিউনিটি সেন্টার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আব্দুর রব মাস্টার, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্য সাবেক এমপি মাসুদ অরুন অভিযোগ করে বলেন, সরকার জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করে রয়েছে। অনতিবিলম্বে আন্দোলনের মাধ্যমে এ অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো হবে।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় বিএনপির দুটি পক্ষ পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে দর্শনা পুরাতন বাজারস্থ বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোখলেসুর রহমান তরফদার টিপুর মার্কেটে দামুড়হুদা উপজেলা ও দর্শনা পৌর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন দর্শনা পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি খন্দকার শওকত আলী। আলোচনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী শাহ, জীবননগর পৌর মেয়র নোয়াব আলী, বিএনপি নেতা রহম আলী, মাহবুবুল ইসলাম খোকন, আ. রব মালিথা, আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল হাইপ্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাহারুল ইসলাম।