চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল সমাবেশ : যুবদলের মিছিলে পুলিশি বাধা

স্টাফ রিপোর্টার: হরতালের দ্বিতীয় দিনে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে তেমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে জোরালো পিকেটিং ছিলো। চুয়াডাঙ্গায় হরতালবিরোধী মিছিল, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ শহীদ হাসান চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করা হয় গতকাল। দর্শনায় বিএনপির দুটি অংশ, জীবননগরে জামায়াতে ইসলামীসহ বিএনপির সমাবেশ মিছিল, বদরগঞ্জেও ছিলো জোরালো পিকেটিঙ। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিলো।

হরতাল চলাকালে চুয়াডাঙ্গায় বাস-ট্রাক চলেনি। প্রথম দিনের মতোই শ্যালোইঞ্জিনচালিত নানা নামের যানগুলোর আধিক্য ছিলো সড়কগুলোতে। শহরে অটোরিকশা চলেছে। দোকানপাট পরশুদিনের তুলনায় গতকাল একটু বেশিই খোলা ছিলো। ব্যাংক-বীমা অফিস আদালতের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। চুয়াডাঙ্গা বিএনপির একাংশ যুবদল জোরালো মিছিল বের করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। তবে হরতালবিরোধী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা এবং শহীদ হাসান চত্বরের সমাবেশসহ আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনসমূহের মিছিল শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই শেষ হয়েছে। জেলা শহরে পৃথকভাবে বের করা হরতালবিরোধী ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাও জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক নির্বিঘ্নেই ঘুরেছে। হরতালবিরোধী মিছিল শহরতলীতেও প্রভাব ফেলে।

Pic-3

হরতালের সমর্থনে গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদল একাংশ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে শেষ হয়। মিছিল নেতৃত্বে দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদস্য সচিব সাইফুর রশীদ ঝন্টু, সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মাহাবুল হক, চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক হাজি রবিউল মল্লিক, দর্শনা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক  নাসির উদ্দিন খেদু, যুগ্মআহ্বায়ক সোহেল তরফদার, সদর থানা যুগ্মআহ্বায়ক সাইদুল রহমান, মিলন মেম্বার, মানিক জোয়ার্দ্দার পিন্টু, রফিকুল, চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক আজিজুল, তানভীর, সোহেল, মোমিন, লাল্টু, দামুড়হুদা থানা যুবদলের আহ্বায়ক তারিক, আলমডাঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক উজ্জ্বল খান, জেলা যুবদলের সদস্য আব্দুল করিম, দিনু, কুদ্দুস, আতিয়ার, লাভলু, মহি, ইন্তাজ আলী, আক্কাস, জাহিদুল ইসলাম, আরিফ, দেলোয়ার, জাহা ঝন্টু, মুবা, আতাউল, আবু, লতিফ প্রমুখ। পরে একটি পথসভার আয়োজন করে। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন। জেলা যুবদলের সদস্য সাইফুর রশীদ ঝন্টু উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান ঈমাম বকুল, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নারা রীনা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মনি, দফতর সম্পাদক আবু আলা শামসুজ্জামান, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম,  পৌর বিএনপির সহসভাপতি আরঙ্গজেব বেল্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লা ছটি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি, আব্দুল মান্নান, ওলামাদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, তরুনদলের আহ্বায়ক মাবুদ সরকার, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাজাহান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্মআহ্বায়ক একরাম, সদর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাছুদ, জেলা ছাত্রদলের নেতা সুমন। উপস্থিত ছিলেন চিৎলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহাসিন আলী, পদ্মাবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজল, শঙ্কচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরনবী ছাসদাবী, সদর থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নুরগনি,  ওলামা দলের সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজাদ, যুব নেতা সুমন, শাহিন, জাহিন, নজরুল, রফিকুল, ফারুক, আব্দুল মালেক, মুকুল, লালন, লুকমান, মানিক, শরীফ, পটল, রুহুল, শামসু, কালু, লাল্টু, শিমুর, সিদ্দিক, শিপন, নজরুল প্রমুখ। স্বতস্ফূর্তভাবে মিছিলে অংশগ্রহণ করার জন্য নেতৃবৃন্দকে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদল অভিনন্দন জানান এবং আগামী দিনে বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

এদিকে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের হরতাল নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফ হোসেন দুদুর নেতৃত্বে কেদারগঞ্জ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ হাসান চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফ হোসেন দুদুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী আহম্মেদ, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান লাভলু, যুবক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শফি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান জিপু চৌধুরী, মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, অ্যাড. ফিরোজ আহম্মেদ, যুবলীগ নেতা মিলন রাজ্জাক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মতি, বুলবুল, ভুলোন, ইছা, শিমু, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শরীফউদ্দিন, মেহেদী, যুগ্মসম্পাদক ফরিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইনামুল, সৈয়দ ফরিদ আহম্মেদ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদ, সাধারণ সম্পাদক সজল, সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক সুমন রেজা, কালেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জানিফ প্রমুখ। সমাবেশে বক্তরা বলেন, দেশে অহেতুক হরতাল অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর করে জনসাধারণের ক্ষতি করে তারা দেশ ও জাতির শত্রু  বিএনপি, জামাত-শিবিরের হরতালেকে প্রতিহত করে আবারও উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী করার আহ্বান জানান। বিক্ষোভ সমাবেশটি পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিংকু হোসেন জোয়ার্দ্দার। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

চুয়াডাঙ্গায় হরতালের দ্বিতীয় দিনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ  বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। হরতাল চলাকালে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ হরতালের সমর্থনে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বর থেকে ফিরে কোর্টে চত্বরে শেষ হয়। মিছিল শেষে কোর্ট চত্বরের সমাবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব মল্লিক ও ইসলামী ল’ইয়্যারস কাউন্সিলের সভাপতি. মসলেম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সদস্য সচিব জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুল, জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিম, ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, আ.স.ম. আব্দুর রউফ, সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, অ্যাড. মইন উদ্দিন মঈনুল, আনছার আলী, রফিকুল ইসলাম-১, আব্দুল খালেক, বদিউজ্জামান, হানিফ উদ্দিন, একলাচুর রহমান কাজল, মমতাজ বেগম, আব্দুল্লাহ আল মামুন এরশাদ, নাজমুল হাসান লাভলু, আসাদুজ্জামান আসাদ, হুমায়ুন কবীর মামুন, খন্দকার অহিদুল আলম মানি, হেমায়েত উল্লাহ বেল্টু, জিল্লুর রহমান জালাল, মাসুদ পারভেজ, এসএম হুমায়ুন কবীর, মশিউর রহমান পারভেজ, মোমিনুল হাসান পলাশ, রুবিনা পারভীন ও রুহুল আমীন। বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ দাবি করে বক্তারা বলেন, সরকারের কুকর্ম ও ব্যর্থতা ঢাকতে নিজেদের মতো সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়। দেশবাসীর দাবি অবিলম্বে চলমান সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় সরকার গঠন করে সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, বিএনপির আহ্বানে তিনদিনের হরতালের ২য় দিনে দর্শনায় মিছিল করেছে বিএনপি। বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন সাক্ষরিতে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার হরতাল চলাকালীন (কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা বাবু খান সমর্থিত) দর্শনা পৌর বিএনপি, যুবদল, শ্রমিকদল ও ছাত্রদল একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান বুলেট, যুগ্মসম্পাদক ইকবাল হোসেন, বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন, তোতা, মোমিন, সরাজ, শহিদুল, সেলিম, ডাবলু, আবুল, নাজিম উদ্দিন, ইসমাইল, রনি, মুন্নাফ, ফারুক, বাবু ড্রাইভার, রাজ্জাক, যুবদলনেতা আরেফিন, আব্দুল, রানা, মাসুম, শফি, জাকের, ছাত্রদল নেতা বাবুল আক্তার, সাইফুল ইসলাম সোহেল, ব্রাইট, সুমন, নুরগণি, হাতেম প্রমুখ।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় ঝিনাইদহে বিএনপির ৩ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে শহরের আদর্শপাড়া এলাকা তাদের আটক করে সদর থানা পুলিশ। আটকৃকতরা হলো- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান পপ্পু, ঝিনাইদহ পৌরপ্যানেল মেয়র বিএনপি নেতা তোফাজ্জেল হোসেন ও ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেরেফুল ইসলাম।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দীন আহমেদ জানান, নাশকতার আশঙ্কায় ৩ বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঝিনাইদহ অফিস আরও জানিয়েছে, ঝিনাইদহ শহরে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে হরতালবিরোধীরা। এ সময় জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুজ্জামনের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড় থেকে হরতালবিরোধী একটি মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে শহরের হাঁটের রাস্তা ও আদর্শপাড়া এলাকায় ১০টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। জেলা বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামনের বাসায় ২টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এদিকে ককটেল বিস্ফোরণের পর মুহূর্তের মধ্যে ঝিনাইদহ শহর জনশূন্য হয়ে পড়ে। চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। শহরে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি টহল দিচ্ছে।

এর আগে বুধবার রাতে শহরের হামদহ এলাকায় সদর উপজেলা চেয়াম্যান জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কনক কান্তি দাসের বাসায় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তিনি বাসাতেই ছিলেন। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

এদিকে হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ও চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শতাধিক মোটরসাইকেল ও আলমসাধুযোগে বিক্ষোভ মিছিলটি গতকাল সোমবার বিকেলে ভালাইপুর মোড় থেকে শুরু করে চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌরাস্তা মোড়ে শেষ হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবীর। এছাড়াও খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম মণ্ডল ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলু এবং চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লিহাজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক টুকু মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। চৌরাস্থা মোড়ে মুক্ত মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাসের কোরান তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, শ্রমিকলীগের সভাপতি আফজালুল হক, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের, খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মণ্ডল, চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, যুবলীগ নেতা আবু তাহের আবু, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফি উদ্দিন টিটু ও কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক খুস্তার জামিল, উপপ্রচার সম্পাদক শওকত বিশ্বাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেকসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন, সারাদেশে বিএনপি- জামায়াতের হরতাল ও নৈরাজ্যে প্রতিহত করা ও যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে বিচারকাজ শেষ করা এটা জনগণের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা হরতাল ও নৈরাজ্যের মোকাবেলায় সব সময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল দুপুর ২টার দিকে আলমডাঙ্গার চিৎলা ও খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যুবলীগের উদ্যোগে চিৎলা ও খাদিমপুর ইউনিয়নে বিএনপির ডাকা হরতালের প্রতিবাদে জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবীর ও চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগ নেতা জিল্লুর রহমানের উদ্যোগে মোটরসাইকেল ৱ্যালিতে অনুষ্ঠিত হয়। ৱ্যালিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগ নেতা তোহিদুর ইসলাম ফকা, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দিপু, আলমডাঙ্গা উপজেলা ত্রাণ ও সমবায় সম্পাদক আমির হোসেন, খাদিমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, গাংনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকারিয়া হোসেন, চিৎলা ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান লালন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্তাদুল হক, যুবলীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, খাদিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাবান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হোসেন ও চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক টুকু।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, হরতালের দ্বিতীয় দিনে জীবননগর উপজেলা শহরে ১৮ দলীয় জোটের মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সেইসাথে ছিলো শহরজুড়ে পুলিশ ও বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিএনপির বাবু খান গ্রুপ ও নোয়াব আলী গ্রুপ এবং জামায়াত-শিবির পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করার পর একত্রে ১৮ দলীয় জোটের ব্যানারে লাঠি মিছিল করে। এর পূর্বে পিকেটিংকালে টহলরহ পুলিশের মাইক্রোবাস আটকানোর প্রচেষ্টাকালে পুলিশ বিএনপির দু পিকেটার সামাউল ও বদরউদ্দিনকে আটক করে। পরে সর্ত সাপেক্ষে পুলিশ তাদের মুক্তি দিলে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত আকারে সম্পন্ন করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালেহ আহম্মদের নেতৃত্বে শহরে পুলিশ ও ডিবি মোতায়েন রয়েছে।

অপরদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীরা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করতে জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা, জীবননগর-কালীগঞ্জ ও চ্যাংখালী সড়কসহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হতে থাকে। বিএনপির বাবু খান ও নোয়াব আলী গ্রুপ এবং জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে একত্রিত হয়ে মিছিল শুরু করে। উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি পৌর মেয়র নোয়াব আলীর নেতৃত্বে নোয়াব আলী গ্রুপ ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকন, বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রশীদ ও কাউন্সিলর কাজি নাসির ইকবাল ঠাণ্ডুর নেতৃত্বে বাবু খাঁন গ্রুপ, পৌর যুবদল সভাপতি পৌর প্যানেল মেয়র মশিউর রহমানের নেতৃত্বে নোয়াব আলী গ্রুপের যুবদল, উপজেলা জামায়াতের আমির খলিলুর রহমান, সেক্রেটারি মাও. ইসরাইল হোসেন, পৌর আমির মাও. সাজেদুর রহমান, সেক্রেটারি গোলাম রসুল, উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ফারুক হোসেন ও পৌর ছাত্রশিবির সভাপতি ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবির হরতালের সমর্থনে পৃথকভাবে ও পরে একত্রে বিক্ষোভ মিছিল করে। এর পূর্বে কালীগঞ্জ সড়ক থেকে পুলিশ পিকেটিংকালে বিএনপির দু কর্মীকে আটক করে। এ সময় বিএনপির দু কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে হাইস্কুল মসজিদের সামেন ১৮ দলীয় জোট প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি পৌর মেয়র নোয়াব আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকন, বিএনপি নেতা কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, শহিদুর রহমান, আনিসুর রহমান শিপলু, ওসমান গনি, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রশীদ, ইউপি সদস্য যুবদল নেতা দ্দোজাউদ্দিন, বজলুর রহমান টুটু, যুবদল নেতা আব্দুল আলিম, মিনাজউদ্দিন, আলফাজউদ্দিন, ইউনূছ আলী, আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের সাইদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, সরোয়ার হোসেন, সুমন, শাকিল জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলীল প্রমুখ।

বদরগঞ্জ ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের বদরগঞ্জ-সরোজগঞ্জ ও ডিঙ্গেদহ সড়ক ছিলো সারাদিন ফাঁকা। রাস্তায় ছিলো না কোনো ভারী যানবাহন চলাচল। এমন কি মোটরসাইকেল থেকে অবৈধ্য নসিমন-আলমসাধুও দেখা যায়নি। তবে বদরগঞ্জ-সরোজগঞ্জ ও ডিঙ্গেদহ এলাকায় উল্ল্যেখযোগ্য কোনো নাশকতা ভাঙচুর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। সোমবার সকাল ৬টা থেকেই ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা নেমে আসে রাজ পথে। বন্ধ হয়ে যায় ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গাসহ জেলার বিভিন্ন প্রকার রাস্তায় চলাচল যানবাহন। এ সময় ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কে টহল দিতে দেখা যায় পুলিশ বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যসহ বিভিন্ন প্রকার আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল সকাল থেকে মহেশপুর শহর আ.লীগের দখলে ছিলো। শহরের বিভিন্ন সড়কে ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি অ্যাড. শফিকুল আজম খানের নেতৃত্বে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ, ফতেপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ডা. আতাউর রহমান, কাজী আব্দুস সাত্তার, মুক্তার হোসেন, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, নুরুল ইসলাম, এমএ আসাদ প্রমুখ।

মহেশপুর প্রতিনিধি আরও জানিয়েছেন, মহেশপুরে জামায়াত-বিএনপির ডাকা হরতাল পালিত হয়েছে। খালিশপুর মহাসড়কে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে রাস্তায় বসে থাকে। শহরে দোকানপাট বন্ধ থাকে। মহেশপুর থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। এমনকি কোনো নসিমন, করিমন, আলমসাধু বেবিট্যাক্সি চলাচল করেতে দেখা যায়নি। অফিসের কাজকর্ম স্বাভাবিক ছিলো।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, হরতালের ২য় দিনে গতকাল সোমবার মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। বেলা ১০টার দিকে মেহেরপুর শহরের শাহাজীপাড়াস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক আনছার-উল হকের নেতৃত্বে হরতাল সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে গিয়ে শেষ হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক আনছার-উল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক কালু, বিএনপি নেতা অ্যাড. মোখলেছুর রহমান স্বপন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম বড়বাবু, যুগ্মআহবায়ক প্রভাষক ফয়েজ মোহাম্মদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মোস্তাকিম, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তপন, সহসভাপতি আনিছুর রহমান লাভলু, রুহুল আমিন, যুগ্মসম্পাদক সামসুল আযম লিন্টু, মাহিনুর বাবু, সদর থানা তৃণদলের সভাপতি ওমর ফারুক লিটন, সদর থানা যুবদলের সভাপতি আব্দুস রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান পলাশ, পৌর যুবদলের সহসভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, সদর থানা যুবদলের যুবদল নেতা একরামূল হক একা, রবিউল ইসলাম রবি, জুলফিকার বাবু, আব্দুল লতিফ, ইমন বিশ্বাস, মনি, জেলা তরুণদলের সম্পাদক ইউনুচ আলী, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মীর আলমগীর ইকবাল আলম, জেলা তারেক পরিষদের আহ্বায়ক রাশিকুল ইসলাম রাসু, ছাত্রদল নেতা জনি, সানি, কানন, রিজভী, লিটন, মিন্টু, রনি, কল্লোল প্রমুখ।

সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মেহেরপুরে শহরের কাথুলী মোড়ে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য জড়ো হয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শহরের শাহাজীপাড়া সড়ক পথে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নীলমনি সিমেনা হল সড়ক হয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে। মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক মাহবুবুর রহমান, বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদ, ফজলু খান, হাবিব ইকবাল, জেলা তাঁতিদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান জুয়েল, ছাত্রদল নেতা সোহেল, রাজিব খানসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।

মেহেরপুর অফিস আরও জানায়, হরতালে দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীন সকল সড়কে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে ছোট ছোট যানবাহন ও রিকসা চলাচল করেছে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিলো। অফিস-আদালত খোলা থাকলেও লোকজনের উপস্থিতি খুবই কম ছিলো। ব্যাংক-বীমায় লেনদেন হয়েছে সন্তর্পনে। স্কুল-কলেজ খোলা থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি কম ছিলো। তবে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে দেখা গেছে। এদিন শহরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহরসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। র‌্যাবের টহল চলছে।

অপরদিকে ‘হরতালকে না বলুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ুন’ এ স্লোগানকে মনে-প্রাণে ধারণ করে গতকাল সোমবার মেহেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে হরতালবিরোধী সাংস্কৃতিক আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। মৃত্তিকা গ্রুপ থিয়েটার ও মেহেরপুর উন্নয়ন ফোরামের উন্নয়নে হরতালবিরোধী আড্ডায় বক্তৃতা, গান ও কবিতার মাধ্যমে দেশের চলমাল প্রতিহিংসার রাজনীতিকে বর্জন করার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় মৃত্তিকা গ্রুপ থিয়েটারের সভাপতি মানিক হোসেন, মেহেরপুর উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক আতাউর রহমানসহ উভয় সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে শাহিন, রাসেল, সাব্বির, সাদ্দাম, কাব্য, সিফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গানী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর গাংনীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মোটরসাইকেল শোডাউন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে থানা সড়কের মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ফজলুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, যুবলীগ নেতা ওয়ার্ড কাউন্সিলর নবীর উদ্দীন, ৯ নং ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি জাকির হোসেন বাচ্চু, পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক পল্টুসহ নেতৃবৃন্দ। এ সময় হরতালবিরোধী স্লোগান দেয়া হয়।

সকাল ১০টার দিকে বাসস্ট্যান্ড শহীদ রেজাউল চত্বর থেকে আওয়ামী লীগ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছুর রহমান মকুল, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আহম্মেদ আলী, হাজি মহসিন আলী, জেলা যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক সোহেল আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগ যুগ্মসম্পাদক মজিরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু স্মৃতিক্লাবের সভাপতি আশিকুর রহমান আকাশ, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাজা সেন্টু ও কলেজ ছাত্রলীগের সম্পাদক উজ্জ্বলসহ নেতৃবৃন্দ।

এদিকে গতকাল রাত ৯টার দিকে মকলেচুর রহমান মুকুল ও পৌর মেয়র আহম্মেদ আলীর নেতৃত্বে বাসস্ট্যান্ড থেকে মোটরসাইকেল শোডাউন বের করা হয়। শতাধিক মোটরসাইকেল ও একটি ট্রাকযোগে নেতাকর্মীরা লাঠি মিছিল করে পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।