চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত : গাংনীতে কলেজছাত্রের মৃত্যু : আহত ১৫

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও দামুড়হুদা উপজেলার আরামডাঙ্গায় বজ্রপাতে ৫ জন আহত ও মেহেরপুর গাংনীর কুঞ্জননগরে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ১০ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার পৃথক পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বজ্রপাতে কামরুজ্জামান ভদু (১৯) নামের এক কলেজছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কুঞ্জনগর নিজ গ্রামের মাঠে কাজ করার সময় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। একই সময়ে বজ্রপাতে বিভিন্ন গ্রামে আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভদু কুঞ্জনগর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে ও ধানখোলা বিএম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাঠের ক্ষেতে কাজ করছিলো কামরুজ্জামান ভদু। এসময় বজ্রপাতে সে গুরুতর আহত হয়। পরিবারের লোকজন তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে পরিবার, স্বজন ও কলেজের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রীদের মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।

গতকাল বিকেল ৩টার দিকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। কিছুক্ষণ পরে বৃষ্টি থামলেও একাধারে বিজলীসহ বজ্রপাত শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপি এ অবস্থা চলায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বজ্রপাতের আঘাতে বিভিন্ন গ্রামের কয়েকজন আহত হয়েছেন। চাঁদপুর গ্রামের কাতর আলীর বাড়িতে বজ্রপাত পড়ে। এতে তার একটি গরু মারা যায়। কাতর আলীর স্ত্রী, মেয়ে ও নাতি আহত হয়।

একই সময়ে বজ্রপাত পড়ে শিমুলতলা গ্রামের দুটি বাড়িতে। জালাল উদ্দীনের বাড়িতে প্রায় বিশ হাজার টাকার পাট পুড়ে যায়। আহত হন প্রতিবেশী হায়াত আলী (৫০)। চিৎলা গ্রামের মোমেনা খাতুন (৩৫) ও জমেনা বেগম (৩৬), হেমায়েতপুর গ্রামের সোহাগী খাতুন (৭), গোপালনগর গ্রামের জুসি খাতুন (২৪) ও চাঁদপুর গ্রামের কনিকা খাতুনকে (১৮) আহত অবস্থায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

ভ্রাম্যমাণ/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার আরামডাঙ্গায় বজ্রপাতে একজন আহতহওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিক থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার সাথে সাথে বজ্রপাতের ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা আরামডাঙ্গার গ্রামের মাঝপাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে আবুল কালাম(১৭) রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো। এসময় বজ্রপাতে তার সারা শরীর ঝলসে যায়। সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছেন,গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আলমডাঙ্গার তিনটি গ্রামের পৃথক তিনিট স্থানে আকস্মিক বজ্রপাতে ৪জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।মিরপুর উপজেলার মালিহাদ গ্রামের রওশন আলীর ছেলে আতিয়ার রহমান (৪৫) কুমার নদীতে পাট ধোয়ার সময় আকস্মিক বজ্রপাতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। আলমডাঙ্গার প্রাগপুর গ্রামের খেড়ু মণ্ডলের স্ত্রী আকলিমা খাতুন (৬০) ও মেয়ে হালিমা খাতুন (১৬) ঘরের মেঝেতে বসে থাকা অবস্থায় বজ্রপাতে আহত হন। তাদেরকেও দ্রুত উদ্ধার করে হারদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপরদিকে ভাংবাড়িয়া গ্রামের শরিফুলের স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৩৫) রান্না করার সময় বজ্রপাতে আহত হন।