চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে আইনজীবীদের দু দিনের কর্মসূচি পালন অব্যাহত

কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশের পর আজ আদালত বর্জন

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করার প্রতিবাদে গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে সকল আদালতে কালো পতাকা মিছিল করেছেন আইনজীবীরা। একই দাবিতে আজ সোমবার সারাদেশে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করা হবে।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন রোববার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমান প্রশ্নবিদ্ধ সংসদের আওতায় সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমরা মতবিনিময়সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল (সোমবার) আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করা হবে। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, স্বাধীন বিচার বিভাগকে ধ্বংস করতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। আইনজীবীরা এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবেন। স্বাধীন বিচার বিভাগ না থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না।

খন্দকার মাহবুব বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবং বর্তমান সংসদের বৈধতা যখন প্রশ্নবিদ্ধ সেই অবস্থায় সংবিধান সংশোধন করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদকে দেয়া হয়েছে। যার ফলে বর্তমান সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে বিচার বিভাগ। আর বিচার বিভাগ যদি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে বিচার প্রার্থীরা ন্যায়বিচার পাবে না। মানুষ ন্যায়বিচার না পেয়ে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। সংবাদ সম্মেলনে বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করার প্রতিবাদে আইনজীবীরা সুপ্রিমকোর্টে কালো পতাকা মিছিল করেন। দুপুরে বার কাউন্সিলের সদস্য মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক আইনজীবী কালো পতাকা মিছিলের অংশ নেন।

এদিকে সংবিধানে ষোড়শ সংশোধনীর প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় আইনজীবীরা কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছেন। গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি বার ভবন থেকে মিছিল বের হয়ে কোর্টমোড় ঘুরে আবার কোর্টচত্বরে এসে সমাবেশ করে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এ কর্মসূচির ডাক দেয়। এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুন্সি শাহাজাহান মুকুল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব মল্লিক বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র আইনজীবী এসএম আসাদুজ্জামান গনি, আনছার আলী, রফিকুল ইসলাম (১), সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, মইনুদ্দীন মইনুল, মানজার আলী জোয়ার্দ্দার হেলাল, আব্দুল খালেক, এখলাছুর রহমান কাজল ও জালাল উদ্দিনসহ আইনজীবীরা।