চুয়াডাঙ্গা মেরহরপুরসহ সারাদেশে প্রাথমিক-ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা শুরু

স্টাফ রিপোর্টা: ২৯ লাখ ৫০ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে গতকাল বুধবার থেকে একযোগে শুরু হয়েছে পঞ্চম শ্রেণি শেষ করা ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। গতকাল সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে গণিত বিষয়ের পরীক্ষা। শেষ হয় দুপুর দেড়টায়। এবারও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ছিলো অতিরিক্ত ২০ মিনিট।

শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল রাজধানীর টিঅ্যান্ডটি স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি পরীক্ষা চলাকালীন দিনগুলোতে হরতাল বা কঠোর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেয়ার জন্য বিরোধীদলগুলোর প্রতি আবারও আহ্বান জানান। আজ বৃহস্পতিবার একই সময়ে প্রাথমিকে ও ইবতেদায়িতে বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশের ন্যায় একযোগে চুয়াডাঙ্গায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রথম দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরীসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।

            জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে গতকাল বুধবার শিক্ষা সমাপনী ও এবতেদায়ি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ উপজেলা থেকে এবার ২ হাজার ৮৪৪ জন শিক্ষা সমাপনী ও ৩৯৬ জন এবতেদায়ি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। গতকাল অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের পরীক্ষায় উপজেলার ৮টি কেন্দ্রে শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৯৪ জন ও এবতেদায়ি পরীক্ষায় ৪৩ জন অনুপস্থিত ছিলো।          শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে ৫৩৬, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে ৩৪৬, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে ৩৬৯, আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে ৪৬৭, করতোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে ৪২২, বাঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে ২৩৯, হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে ২৭৮ ও  রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে ১৮৭ জন শিক্ষা সমাপনী ও এবতেদায়ি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে প্রথম দিনে উভয় পরীক্ষায় ১৩৭ জন অনুপস্থিত ছিলো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুর রহমান উপজেলার ৮টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

            ভ্রাম্যমা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৬টি কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। ১ম দিনে ৫ হাজার ৯৩৮ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। ১৬৯ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো। আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ কুমার পাল, কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে ছিলেন প্রধান শিক্ষক পূর্ণিমা রানি সাহা, হলসুপারের দায়িত্ব পালন করছেন ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিরুজুন নেছা। ১৬টি কেন্দ্রের মূল দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

            জামজামি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গা জামজামির ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে জামজামি ইউনিয়নের ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩৬ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দেয়ার কথা থাকলেও ৩১৭ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। অনুপস্থিত ছিলো ১৯ জন। হলসুপারের দায়িত্বে ছিলেন মাজু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছরোয়ার হোসেন। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে প্রথম দিনে ৩টি উপজেলার ৩১টি কেন্দ্রে ১১ হাজার ৪৮১ শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অনুপস্থিত ছিলো ২৩৭ জন। এছাড়া ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩টি কেন্দ্রে ৭৭৮ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। অনুপস্থিত ছিলো ১১৫ জন। মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ বছর মেহেরপুর সদর উপজেলার ১৪টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৬০৩, গাংনী উপজেলার ১৩টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ১০২ এবং মুজিবনগর উপজেলার ৪টি কেন্দ্রে এক হাজার ৭৭৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। মেহেরপুর উপজেলায় ১১৩, গাংনী উপজেলায় ৯২ এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৩২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো। এছাড়া ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৩৯৯, গাংনী উপজেলায় ২৭৭ এবং মুজিবনগর উপজেলায় ১০২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। মেহেরপুরে ৪৫, গাংনীতে ৪৯, এবং মুজিবনগরে ২১ জন অনুপস্থিত ছিলো। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোকতার হোসেন এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এসএম তৌফিকুজ্জামান বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।