চুয়াডাঙ্গা বিএডিসি ফার্মের শ্রমিকদের বিরোধ নিরসনে হুইপ: মোমিনকে সাময়িক সরিয়ে রাজুকে দেয়া হয়েছে সর্দ্দারের দায়িত্ব

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা বিএডিসি খামারে শ্রমিকদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। তিনি গতকাল খামারে সরেজমিন পরিদর্শন করে বিরোধের প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করেন।

লেবার সর্দ্দার মোমিনকে সাময়িক কাজ না করার পরামর্শ দেয়ার পর রাজুকে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফার্মের পরিচালক। সংশ্লিষ্টসূত্র এ তথ্য দিয়ে বলেছে, চুয়াডাঙ্গা বিএডিসি খামারে প্রতিদিন দু শিফটে প্রায় সাড়ে ৩শ শ্রমিক কাজ করেন। শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কাজের সুবিধার জন্য প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় অর্থাত বড় মেজ ও ছোট তিনজন লেবার সর্দ্দার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। বেশ কিছুদিন ধরে কলোনির মোমিন লেবার সর্দ্দার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। দ্বিতীয় তথা মেজ সর্দ্দার হিসেবে টেংরামারির মোশারফ, তৃতীয় তথা ছোট সর্দ্দার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ফার্মপাড়ার শফু।

গত ২০ অক্টোবর সকালে ফার্মের বস্তা বাধা হালপাতি চুয়াডাঙ্গার ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডের নিকট এক দোকানে বিক্রি করতে নেয়ার পথে কয়েকজন শ্রমিক বিল্লাকে বাধা দেয়। তাকে মারধর করে হালপাতি চুরির মৌখিক অভিযোগ তুলে পুলিশে দেয়া হয়। সে মোমিন সর্দ্দারের ঘনিষ্ঠ বলে অন্য শ্রমিকদের দাবি। শেষ পর্যন্ত মামলা না করায় পুলিশ বিল্লালকে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়। পরদিন ফার্মে কাজ করতে গেলে বিল্লালকে ধরে পিটুনি দেয়া শ্রমিকদের কর্মচ্যুতির কথা জানানো হয়। উত্তেজনা দানা বাধে। কাজ হারানে শ্রমিকরা সংগঠিত হয়। তাদের কাজে ফেরাতে মোমিনকে বিতাড়িত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাদের পাশে দাঁড়ায় যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। ২৩ অক্টোবর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দানা বাধে। শহরে ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিছিল বের করে। বেশ কিছু অটো ভাঙচুর করে তারা। প্রেসক্লাবে নগ্ন বর্বরোচিত হামলা চালায়। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে যুবলীগ।

বিএডিসি খামারে শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে গতপরশু দেশে ফেরেন হুইপ। তিনি গতকাল ফার্ম পরিদর্শন করেন। শ্রমিকদের নিকট থেকে বিস্তারিত শোনেন। সূত্র বলেছে, মোমিন সর্দ্দারকে কয়েকদিনের জন্য কাজ না করার পরামর্শ দেয়া হলে কিছু শ্রমিক কাজ না করার ঘোষণা দেয়। পরে অবশ্য তাদের কিছু অংশ কাজে যোগ দেয়। সর্দ্দার হিসেবে রাজুকে সাময়িক দায়িত্ব দেয়া হলেও উত্তেজনা প্রশমন হয়নি। ফার্মপাড়া ও কলোনির শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।