চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার অপু রহমান হত্যামামলা : রাজ্জাকের আদালতে আত্মসমর্পণ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার অপু রহমান হত্যামামলার আসামি ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার রাজ্জাক গ্রেফতার এড়িয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। গতকাল রোববার সে আদালতে আত্মসমর্পণ করে। অপরদিকে সদর থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানা গেছে।গতকাল তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের আদেশে তাকে জেলহাজতে নেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার হাফিজুর রহমানের ছেলে অপু রহমান (৩০) রেলবাজারে তৈরি পোশাকের দোকানি ছিলেন। গত ২৭ জুলাই রাতে দোকান বন্ধ করে সাতগাড়ি যান। সেখান থেকে ফেরার সময় রক্তাক্ত জখম হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। রাতেই তাকে রেফার করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তিনি মারা যান। ঈদের দিন সেখানেই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। অপু রহমানের পিতা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা এতিমখানাপাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম, মসজিদপাড়ার মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম অপু ও সাতগাড়ির হানিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাজ্জাককে ধরতে দফায় দফায় গ্রেফতার অভিযানে নামে। অবশেষে গতকাল রোববার রাজ্জাক আদালতে আত্মসর্পণ করে। এই রাজ্জাকই রক্তাক্ত মৃতপ্রায় অবস্থায় অপু রহমানকে হাসপাতালে নিয়ে দাবি করে, অপু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে। পরে অবশ্য কৌশলে আত্মগোপন করে সে।

মামলার বাদী অভিযোগ করে বলেছেন, অপু রহমানের মাথার পেছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। সে কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হলে সামনে আঘাত থাকতো। পেছনে হাতুড়ি জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করার কারণেই ঘটনার পর থেকে অপু রহমান কথা বলতে পারেনি। এদিকে পুলিশ ইতোমধ্যেই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েছে। আঘাতজনিত কারণে অপু রহমানের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে তাকে কীভাবে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।