চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপচারিতায় হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার

চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন আমার সার্বক্ষণিক স্বপ্ন

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘চুয়াডাঙ্গার ৮০ শতাংশ সড়ক পাকাকরণ করা হয়েছে। বাকি রাস্তাগুলোও পাকাকরণের প্রকল্পভুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মাথাভাঙ্গা নদীর উৎসমুখ খুলে খননের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এখন পর্যন্ত অসম্ভব পর্যায়ে রয়েছে। কারণ মাথাভাঙ্গা নদীর উৎসমুখটি ভারত ভূখণ্ডভুক্ত। ফলে বিষয়টি অনেক বড় এবং আন্তঃদেশীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।’

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন উপরোক্ত তথ্য দিয়ে বলেছেন, পোড়াদহ-গোয়ালন্দ ঘাট সাটেল ট্রেনটি আমরা দর্শনা পর্যন্ত আনার চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে চোরাচালান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুজিবনগর-মেহেরপুর, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়ক সম্প্রসারণের প্রকল্পটি ১৮০ কোটি টাকার। ধীরে ধীরে বরাদ্দ পাওয়ার কারণে ঠিকাদারের কাজে ধীর গতি। আমরা আসন্ন বাজেটের পর অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে এ সড়কের কাজ অতিদ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো। সড়ক সম্প্রসারণের কাজটি আমারই ডিওতে প্রকল্পভুক্ত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ গতকাল সন্ধ্যায় হুইপকে প্রেসক্লাবে আমন্ত্রণ জানাতে গেলে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও কুমারী ভেটেরিনারিকে পূর্ণাঙ্গ কলেজে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এরকম অনেক উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়নের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জনগুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় উন্নয়নের তালিকা প্রদানেরও আহ্বান জানান। প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রেসক্লাব সভাপতি মাহতাব উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক সরদার আল আমিন, সহসভাপতি জেড আলম, সাধারণ সম্পাদক রফিক রহমান, অর্থসম্পাদক বিপুল আশরাফ, প্রচার সম্পাদক রিচার্ড রহমান, দফতর সম্পাদক আব্দুস সালাম, ক্রীড়া সম্পাদক রাজন রাশেদ, কার্যকরি সদস্য নাসির উদ্দীন আহম্মেদ, মরিয়ম শেলী, শাহ আলম সনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে একান্ত আলাপচারিতার মাঝে হুইপ প্রেসক্লাবের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। আগামী ৯ মে বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রেসক্লাবের তরফে হুইপকে সংবর্ধিত করা হবে। তিনি আগামী ১০ মে ঢাকার উদ্দেশে চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করবেন। গতকাল দুপুরে তিনি ঢাকা থেকে সড়ক পথে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছান। চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে পৌঁছানোর পর তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর তিনি বাসায় ফেরেন। সন্ধ্যার পর তিনি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে খোলামেলা আলোচনা করতে গিয়ে উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষার কথাই পুনঃ পুনঃ ব্যক্ত করে বলেন, চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন আমার সার্বক্ষণিক স্বপ্ন।