চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি

বাজার দর স্থিতিশীল রাখতে সারাদেশে খোলাবাজারে প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন বিক্রি করবেন ৫শ ৫৫ কেজি চাল
স্টাফ রিপোর্টার: নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্য সরবরাহের লক্ষ্যে গতকাল রোববার থেকে সরকারিভাবে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে ৩০ টাকা কেজি দরে মোটা চাল বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ক্রেতা ৫ কেজি করে চাল নিতে পারবেন। সরকার মনে করছে, ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হওয়ায় খোলা বাজারে চালের দাম কমে আসবে।
খাদ্য অধিদফতরের রেশনিং ডিপার্টমেন্টের চিফ কন্ট্রোলার তপন কুমার দাশ বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম দামে চাল সরবরাহের জন্য রোববার সকাল থেকে সারাদেশে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। আশা করছি এতে খোলা বাজারে চালের দাম কমে আসবে।’
এদিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আজ সোমবার থেকে আগামী ১ মাস ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা কেজি দরে জনগণের জন্য নির্ধারিত ৯ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হবে। সর্বোচ্চ ৫ কেজি পরিমাণ চাল কিনতে পারবে ক্রেতারা ।
সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশের ন্যায় শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে শনিবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চাল বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন ৫টন চাল ৯জন ডিলারের মধ্যে বন্টন করা হবে। একজন ডিলার প্রতিদিন ৫শত ৫৫ কেজি চাল বিক্রি করতে পারবেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলকার ৯ জন ডিলার হলেন, চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের ফেরিঘাট রোডের বদরে মনির, বুজরুকগড়গড়ি মুন্সিপাড়ার মনোয়ার হোসেন, বেলগাছির ইমদাদুল হক, পুরাতন ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার ওহিদুল ইসলাম, কোর্টপাড়ার জাভেদ মো. রফিজ খান, পশুহাটপাড়ার আলিহীম বিশ্বাস, তালতলার আজাদ আলী, হাটকালুগঞ্জ এলাকায় আদম আলী এবং গমপট্টির রবগুল হোসেন আমজাদ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মান্নান আলী বলেন, খাদ্যশষ্যের বাজার মূল্যের উর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নি¤œ আয়ের জনগোষ্ঠীকে মূল্য সহায়তা দেয়া এবং বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষে আগামী ১ মাসের জন্য ওএমএস কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা পাওয়া গেছে।