চুয়াডাঙ্গা দোস্তের আব্বাচের বিরুদ্ধেরোজাদার মহিলাসহতিনজনকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের দোস্ত গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাতাল আব্বাচ আলী ও দুসহোদর মিলে রোজাদার মহিলাসহ ও তার দুছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আহত মিলন ও আরিফুলকে জখম অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সরেজমিনে জানাগেছে, গতকাল রোববার ইফতারির আগমুহূর্তে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত আমতলাপাড়ার মন্নানের ছেলে আব্বাচ আলী মদ্যপ অবস্থায় প্রতিবেশী আব্দুল হাকিমের বাড়িতে টাকার নোট ভাঙতে যায়। সেখনে গিয়ে কৌশলে আব্দুল হাকিমের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের নিকট থেকে ৫শ টাকার বিপরীতে ১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় আব্বাচ। বিষয়টি আনোয়ারা প্রতিবেশীদের বললে আব্বাচ ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাই ইউসুপ ও বাবুকে সাথে নিয়ে আব্দুল হাকিমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তৈরির ইফতার ও খাদ্য খাবারে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এসময় হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে আব্বাচ আলী ও তার দুসহোদর পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আব্দুল হাকিমের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫৫), দুছেলে মিলন (২৬) ও আরিফুল ইসলামকে (২০)। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মিলন ও আরিফুলকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। খবর পেয়ে হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এএসআই মুহিতুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং পুলিশি উপস্থিতি টেরপেয়ে আব্বাচ ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। আব্দুল হাকিমের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, ইয়াকুব দর্জির ছেলে বাবুমোল্লা উসকিয়ে আব্বাচ আলীকে দিয়ে মারধর করা হয়েছে।