চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার উজিরপুরে টর্নেডোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

 

স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামে গত রোববার রাতে টর্নেডোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব দিক থেকে ধেয়ে আসা টর্নেডোতে এসময় গ্রামের শতাধিক কাঁচা ও টিনের ঘরসহ বিপুল পরিমাণ গাছে ভেঙে ও উপড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ও টিউবওয়েলও উপড়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সহকারী প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন জানান, ঝড়ের কারণে তারের ওপর গাছ ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় মেরামত কাজ করতে হয়। ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামতের পর বিকেলে বিদ্যুত সরবরাহ চালু হয়।

গ্রামবাসীরা জানান, গত রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে মাত্র ১০ সেকেন্ড স্থায়ী এই টর্নেডোতে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। টর্নেডোর পর মুষলধারে বৃষ্টিপাত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে খোলা আকাশের নিচে খুবই কষ্টে সময় পার করতে হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উজিরপুর গ্রামের দিঘিপাড়া, খলিফাপাড়া ও মণ্ডলপাড়া। এই টর্নেডোতে শতাধিক দরিদ্র মানুষের বসতবাড়ি, গাছপালা, বৈদ্যুতিক মিটার, মাঠে সেচের জমিতে ১০টি বৈদ্যুতিক পোল উপড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন-সরোয়ার হোসেন, জহুরুল ইসলাম, ফুলসুরাতন, ফরজ আলী, মো. বকুল, কফিল উদ্দিন, জান্টু, আশানুর, মিজার হোসেন, হাফিজুর রহমান, বাবলু, মহিদুল ইসলাম ও ইসলাম উদ্দিনসহ আরো অনেকে। মো. বকুলের বাড়ির টিউবয়েলটি টর্নেডোতে উপড়ে যায়। এছাড়া গ্রামের বিভিন্নজনের বাঁশঝাঁড়সহ গাছপালা উপড়ে যায়।

দামুড়হুদা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় মেম্বার মো. আব্দুল খালেক জানান, মাত্র ১০ সেকেন্ডের টর্নেডোতে গ্রামের প্রায় শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্তসহ অসংখ্যগাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় সেচের জমিতে কৃষকরা দিশেহার হয়ে পড়েছেন। খুঁটিগুলো মেরামতের দাবি জানাচ্ছি। সেইসাথে প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, টর্নেডোর খবর পেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আশরাফ হোসেন বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দিঘিপাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নামের তালিকা প্রস্তুত করেন এবং বাকি এলাকাগুলো আজ মঙ্গলবার পরিদর্শন করে নামের তালিকা তৈরি করবেন বলে জানান। তিনি আরো জানান, দিঘিপাড়ার ২০টি কাঁচাঘর ও ১৫টি আধাপাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে। বাকি তালিকা প্রস্তুত করে জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয়া হবে।