চুয়াডাঙ্গা দর্শনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্মদিন পালিত

 

স্টাফ রিপোর্টার: আবারও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবমির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপিসহঅধিকাংশ দলই অংশ নেয়নি। যে নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ছিলো না, সেইনির্বাচনের মাধ্যমে একটি অবৈধ সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। তাই অবৈধসরকারকে পদত্যাগ করে এখনই নির্বাচন দিতে হবে। না হলে গণআন্দোলনের মাধ্যমেসরকারকে ক্ষমতার মসনদ থেকে টেনে নামানো হবে। তখন আন্দোলনের মুখে সরকারপালানোর পথ খুঁজে পাবে না।’

বগুড়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মোত্সব উপলক্ষে গতকাল শুক্রবারআয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতির আহ্বানজানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দেশ এখন গভীর রাজনৈতিক সংকটেপড়েছে। বর্তমান সরকার মিথ্যাবাদী ও অবৈধ। এই সরকারে অবৈধ কর্মকাণ্ড আর চলতেদেয়া যায় না। এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবেআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। জয় আমাদের হবেই।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৬৯তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে বগুড়া জেলাবিএনপি বিকেলে স্থানীয় একটি চার তারকা হোটেলে জন্মোত্সবেরআয়োজন করে। এতে ৬৯ পাউন্ড ওজনের একটি কেক কাটা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতিসাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে চেয়ারপারসনের জন্মোত্সবে মির্জা ফখরুল ইসলামআলমগীর আরও বলেন, ‘শেখ মুজিব বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। শেখ হাসিনাও বিনা ভোটের নির্বাচনে ক্ষমতায় গিয়েএকদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চাচ্ছে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকেপদত্যাগে বাধ্য করাতে হবে। এজন্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধসরকারবিরোধী আন্দোলনে একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে, নিরপেক্ষসরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচন হলে তারা কখনো জিততে পারবে না। এ জন্য তারাতত্ত্বাবধায়ক সরকার মানতে চায় না। তারা নিয়ম রক্ষা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায়এসে আরেক দফা বাকশাল কায়েম করতে চায়। এ জন্য সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করেগণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিতে চায়। অবিলম্বে সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল নাকরলে আন্দোলনের মাধ্যমে তা বাতিল করতে বাধ্য করা হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নালআবেদীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম, সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামানতালুকদার, বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহাবুবর রহমান প্রমুখ।

এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে অনাড়ম্বর পরিবেশে কেক কেটে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৬৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। জেলা বিএনপির কেদারগঞ্জস্থ কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৭টায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবন্দৃকে সাথে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, যুগ্মআহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সরদার আলী হোসেন, জেলা সদস্য ও সদর উপজেলা বিএনপির অ্যাড. এমএম শাহজাহান মুকুল, রউফুন নাহার রীনা, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, আবু আলা শামসুজ্জামান এবং জেলা বিএনপি, সদর উপজেলা বিএনপি, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে,খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে দর্শনায় পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দর্শনা পৌর বিএনপির আয়োজনে বিকেলে দর্শনা বাসস্ট্যান্ড তেতুলতলার বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে কেক কাটা হয়। কেক কাটা শেষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল। বিএনপি নেতা আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন,পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাহারুল ইসলাম মাস্টার,আ. মালেক মণ্ডল,আলীহিম,জেলা ছাত্রদলের সদস্য নাসির উদ্দিন হাসু,রাসেদ আহম্মেদ সজিব,যুবদলনেতা সাহবুল,মোতালেব,আবু সাঈদ,শরীফুল ইসলাম মানিক,মাহবুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন।