চুয়াডাঙ্গা দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ায় সন্ধ্যারাতে মুখোশধারী ডাকাতদলের হানা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সাঁড়াশি অভিযানের মধ্যেও দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা জেলা শহরের দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার একটি বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে লুটপাট চালিয়েছে। গতরাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেননি তারা।

জানা গেছে, সন্ত্রাসী-জঙ্গি ধরতে সারাদেশে সাঁড়াসি অভিযান চলছে। এরই মধ্যে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার আশাদুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেয় একদল ডাকাত। ডাকাতরা বাড়ির ভাড়াটে ফেরদৌস আলমের কক্ষে হানা দেয়। ভাড়াটে ফেরদৌস জানান, তিনি তখন মোটরসাইকেলযোগে তার শিশুপুত্রকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির গেটে পৌঁছেই তিনি বুঝতে পারেন বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। বাড়ির গেটে পৌঁছুনোর সাথে সাথে বাইরে থাকা দুই ডাকাত সদস্য তাকে জিম্মি করে। ঘাড়ে অস্ত্র ধরে বলা হয়, কোনো রকম নড়াচড়া করলেই ছেলেকে মেরো ফেলবো। এ কথা বলার পর তিনি ভীত হয়ে পড়েন। এ সময় তার মোটরসাইকেলটি কেড়ে নেয় ডাকাত সদস্যরা। পরে ডাকাতরা ফেরদৌসকে দিয়ে বাড়ির গেট খুলিয়ে ঘরে ঢোকে। তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে ডাকাতরা। পরে ফেরদৌসের স্ত্রী ও বৃদ্ধা মায়ের মাথার ওপর ধারালো অস্ত্র ধরে ৫ ডাকাত লুটপাট চালায়। ফেরদৌস বলেন, তার ঘরে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকা, ৮ ভরি ওজনের স্বর্ণের গয়নাগাটি, ৪টি মোবাইলফোন, টিভি কার্ডসহ কম্পিউটার মনিটর ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। এছাড়া বাড়ির মালিক আশাদুলের ঘর থেকেও লুট করে ডাকাতরা। তারা একটি ল্যাপটপ ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ডাকাতরা বাড়িতে তাণ্ডব চালায়। তারা ঘরের জিনিসপাতি তছনছ করে। ফেরদৌসকে মারধরও করে ডাকাতরা। তিনি আরও জানান, ডাকাতরা যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায় যে, এই ডাকাতির ঘটনা কাউকে জানালে তার দুই শিশুপুত্রকে হত্যা করা হবে। ফেরদৌসের স্ত্রী জানান, লুটপাটের সময় রুমাল দিয়ে ডাকাতদের মুখ বাঁধা ছিলো।

এদিকে ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক, ওসি তদন্ত এএইচএম কামরুজ্জামান খাঁন, ডিবি পুলিশের এসআই আমির আব্বাস, এসআই ইব্রাহিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) ছূফী উল্লাহও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ডাকাতির বর্ণনা শোনেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।