চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত পত্রিকার সম্পাদক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে বৈঠকে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন

ঈদ উদযাপন শান্তিপূর্ণ করতে সর্বাত্মক প্রস্তুত পুলিশ ॥ প্রয়োজন সাংবাদিকদের সহযোগিতা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আসন্ন ঈদুল ফিতর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পালনের লক্ষ্যে পুলিশ প্রস্তুত। প্রয়োজন সাংবাদিকসহ সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা। ঈদ বকশিস নামে চাঁদাবাজি চলবে না, বহিরাগত ইমাম নিয়ে এনে নামাজ পড়ানোর কারণে উত্তেজনা? তাও চুয়াডাঙ্গা পুলিশ মেনে নেবে না। রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল দিনে রাতে সব সময়ই ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর রাত ১২টার পর কোনো অপরিচিত মানুষ সড়কে চলাচল করলেই তাকে পুলিশি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। জবাবে ত্রুটি পেলেই থানায় নেয়া হবে মোটরসাইকেলসহ চালককে।
চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন উপরোক্ত তথ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময়কালে পুলিশ সুপার বলেন, ঈদ উদযাপন নির্বিঘেœ করার লক্ষ্যে পুলিশের তরফে যা যা করার দরকার সবই করা হবে। কোনো অপরাধীকে ছাড়া দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে উৎসবমুখর করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নাজমুল হুদা উপস্তিত ছিলেন। উপস্থিত পত্র-পত্রিকার সম্পাদক, জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিরাও জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। জেলাজুড়ে নানা গুজবে কান দিয়ে নানা ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের গুরুত্ব তুলে ধরে পুলিশ সুপার বলেন, গুজব থেকে জেলাবাসীকে রক্ষা করতে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রগুলো সত্যিই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। ঈদের ছুটির দিনগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে আমাদের আন্তরিকতায় কোনো রকমের ঘাটতি থাকবে না। মাঠপর্যায়ে কর্মরতদেরও কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করানো হচ্ছে।
এক মোটরসাইকেলে তিনজন, রেজিস্ট্রেশনবিহীন ও হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোর প্রবণতা চুয়াডাঙ্গায় বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটা চলবে না। গরু বহন করা গাড়িতে চাঁদাবাজি? তাও বন্ধ করা হবে। তবে পশুহাট ফেরত গরু ব্যবসায়ীদের ফেরার সময় শটকাট রাস্তা বাদ দিয়ে সদর বড় রাস্তা দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। গ্রামবাংলায় রাস্তার পাশের রাস্তার পাশের ঝোঁপ ছাড়া কেটে পরিষ্কারের বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে।
প্রাণবন্ত মতবিনিময়সভায় পুলিশ সুপার সুপারের আহ্বানে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুত দেন উপস্থিত সাংবাদিক ও সম্পাদকেরা।