চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের নয়মাইলে গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতি

চালকের বিচ্ছক্ষণতায় ডাকাতদলের কবল থেকে রক্ষা পেলেন রয়েল এক্সপ্রেসের যাত্রীরা
স্টাফ রিপোর্টার: চালক আব্দুল করিমের বিচক্ষণতায় ডাকাতদলের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন রয়েল এক্সপ্রেসের একটি নৈশকোচের যাত্রীরা। গতকাল বুধবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের নয়মাইল বাজারের অদূরে ইটভাটার নিকট গাছের গুড়ি ফেলে একদল ডাকাত ডাকাতি শুরু করে। একটি ট্রাক চালক ডাকাতির শিকার হলেও তার সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, রয়েল এক্সপ্রেসের একটি নৈশকোচ ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৩১১৫ গতপরশু রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার গাবতলি থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়। কোচটি নিয়ে চালক আব্দুল করিম যখন ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কে তখন ঘনকুয়াশা। নয়মাইল নামকস্থান পার হওয়ার পর ইটভাটার নিকট পৌঁছেই চালক দেখতে পান গাছের গুড়ি ফেলেছে ডাকাতদল। একটি ট্রাকে ডাকাতি করছে তারা। অবস্থা বেগতিক দেখে রয়েল এক্সপ্রেসের চালক আব্দুল করিম কালবিল¤œ না করে দ্রুত কোচটি পিছিয়ে নয়মাইল বাজারে নেন। এ সময় ঢাকাদল ধারালো অস্ত্র দিয়ে চালকের জানালায় কোপ মারে। গ্লাসে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে অপর একটি জানালায় কোপ দিলে আছাড়ি ছাড়া দায়ের বাকি অংশ কোচের ভেতরে পড়ে। এসবে পরওয়া না করে চালক দক্ষতার সাথে কোচটি নয়মাইল নামক বাজারে নিয়ে অবস্থান করতে থাকেন। ঘটনার ১৫ মিনিটের মাথায় পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ গাছের গুড়ি সরায়। শেষ পর্যন্ত কোচটি ৫টির দিকে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছুয়।
চালক আব্দুল করিম বলেছেন, কুয়াশা না থাকলে দূর থেকেই সড়কে কেউ কিছু করছে কি-না তা দেখা যায়। ঘনাকুয়াশার কারণে ডাকাতদলের আটকানো ট্রাকের খুব কাছে পৌঁছে যখন বিষয়টি বুঝতে পারি, তখনই দ্রুত পেছনে ছুটি। ডাকাতদল ধারালো অস্ত্র নিয়ে তা-ব চালাতে থাকে। কোচের যাত্রীদের প্রায় সকলেই বলেছেন, চালকের বিচক্ষণতায় যাত্রীরা ডাকাতদলের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। সড়কে বেশি বেশি করে পুলিশি টহল দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।