চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সেখ সামসুল আবেদীন বিজয়ী

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেখ সামসুল আবেদীন খোকন ২৬৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু পেয়েছেন ২৪৭ ভোট। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সোহরাব হোসেন ৯ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুন-অর রশিদ পেয়েছেন ২ ভোট। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বেলা সাড়ে ৫টায় ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমানসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নুরুন্নাহার, তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ফরিদা ইয়াসমিন পেয়েছেন ১৩ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন হাসিনা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিপ্রা বিশ্বাস পেয়েছেন ২৪ ভোট। অপর ৩ প্রতিন্দ্বন্দ্বী প্রার্থী রাশেদা খাতুন পেয়েছেন ১৯, শাহানাজ পারভীন ১৮, আফরোজা আক্তার ৭ ও রাবেয়া খাতুন পেয়েছেন ৪ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন কাজল রেখা। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী পিনজিরা খাতুন পেয়েছেন ২৩ ভোট। অপর ৪ প্রার্থী ছাহেরা খাতুন ২১, যৌথভাবে জান্নাতুল ফেরদৌস ও রশিদা বেগম পেয়েছেন ১০ ভোট করে এবং মনিরা খাতুন পেয়েছেন ৮ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তানিয়া বেগম। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী চম্পা খাতুন পেয়েছেন ৪০ ভোট। অপর দুই প্রার্থী রাবেয়া খাতুন ২০ ও রাশিদা মমতাজ পেয়েছেন মাত্র ১ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মিতা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী আনোয়ারা খাতুন পেয়েছেন ২৪ ভোট। অপর তিন প্রার্থী ফারহানা আক্তার রিনি ১৮, রাবেয়া খাতুন ১৫ ও নিলুফার ইয়াসমিন পেয়েছেন ৩ ভোট।

সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শহিদুল ইসলাম সাহান। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান কবির পেয়েছেন ১৪ ভোট। অপর প্রার্থী আশরাফুল হক পেয়েছেন ৯ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মাফলুকাতুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী আতিয়ার রহমান পেয়েছেন ১০ ভোট। অপর প্রার্থী বাবুল আক্তার পেয়েছেন ৯ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মাহবুবুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী আশরাফুল আলম পেয়েছেন ১০ ভোট। অপর প্রার্থী আব্দুল লতিফ কোনো ভোট পাননি। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আবু মুছা। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী শরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ ভোট। অপর ৩ প্রার্থী জালাল উদ্দীন ৯, শ্রী সমীর কুমার দে ৮ এবং খন্দকার রেদ-উয়ান-উজ-জামান কোনো ভোট পাননি। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তপন কুমার বিশ্বাস। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী মনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১৭ ভোট। এছাড়া জয়নাল আবেদীন চৌধুরী পেয়েছেন ৪ ভোট, অপর দুই প্রার্থী এএইচএম মোয়াজ্জেম ও মো. ওয়াজেদ আলী কোনো ভোট পাননি। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪ ভোট পেয়েছে নির্বাচিত হয়েছেন খলিলুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী আলতাব হোসেন পেয়েছেন ৯ ভোট। অপর ৩ প্রার্থী যথাক্রমে- শায়েকুর রহমান লিটন পেয়েছেন ৪ ভোট, হাসেম মাহমুদ ও আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ১ ভোট করে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আসাবুল হক। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী সাজ্জাদুল ইসলাম পেয়েছেন ১১ ভোট। এছাড়া ফারুক হোসেন ১০ ও মাহবুল ইসলাম পেয়েছেন ১ ভোট। অপর প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ফারাজী কোনো ভোট পাননি। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রকিবুল হাসান। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী ইমান আলী পেয়েছেন ১২ ভোট। এছাড়া ফারুক হোসেন ৬ ও আব্দুল মান্নান ১ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রার্থী কামাল হোসেন কোনো ভোট পাননি। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মুন্সি সিরাজুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম ১৩ ভোট এবং অপর প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম কোনো ভোট পাননি। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শফিউল কবীর। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী আব্দুর রশিদ পেয়েছেন ৮ ভোট। অপর ৬ প্রার্থী যথাক্রমে- রাশেদুল ইসলাম পেয়েছেন ৭, রবিউল হোসেন ৪, রতন আলী ৩, শহিদুল ইসলাম ২, রফিকুল আলম ১ ভোট এবং বাবুল হোসেন কোনো ভোট পান। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জাফর আলী। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী নজির আহমেদ পেয়েছেন ১৬ ভোট। অপর দুই প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৪ এবং হযরত আলী ২ ভোট। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোসাবুল হক। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী রুস্তম আলী পেয়েছেন ৯ ভোট। অপর প্রার্থী আব্দুল হক পেয়েছেন ৬ ভোট এবং মামুন মোল্লা কোনো ভোট পাননি এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শফিকুল আলম। তার একমাত্র প্রতিন্দ্বন্দ্বী আশরাফুজ্জামান টিপু পেয়েছেন ১৬ ভোট।

জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ৫২৮ জনের মধ্যে ৫২৭ জন ভোট প্রদান করেছেন। এরমধ্যে তিনটি ভোট বাতিল হয়েছে। ৩ ও ১৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।