চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণসভা : আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ওকালতনামার দাম ২০০ টাকা নির্ধারণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অডিট প্রতিবেদন-২০১৫ এবং ২০১৬ সালের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের খসড়া বাজেট নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আগামী ২০ জানুয়ারি বুধবার থেকে ওকালতনামার মূল্য ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় কোরআন তেলওয়াত করেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনসুর উদ্দিন মোল্লা। সভায় সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন খান, আলমগীর হোসেন ও নুরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম রফিউর রহমান, আবুল বাশার ও শামীম রেজা ডালিম, সিনিয়র আইনজীবী মোসলেম উদ্দিন, আকরাম হোসেন, শহিদুল হক, আসম আব্দুর রউফ, মঈন উদ্দীন মঈনুল, মানুয়ারুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, আশরাফুল ইসলাম খোকন, বদিউজ্জামান, তালিম হোসেন, আব্দুল মালেক, ফজলে রাব্বী সাগর ও শফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি শাহ আলম ও সিরাজুল ইসলাম, যুগ্মসম্পাদক মানি খন্দকার, কার্যকরী সদস্য জামাল উদ্দিনসহ আইনজীবী সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এমএম শাহজাহান মুকুল জানান, সাধারণ সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির ভবন নির্মাণের জন্য একটি মাস্টারপ্লান তৈরি করে তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা, আভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৫ সদস্যসের যে কমিটি রয়েছে তার সাথে বিশেষ সুবিধার্থে বিগত কমিটিগুলোর সভাপতি ও সম্পাদকদের সম্পৃক্ত করা, জীবদ্দশায় মেয়াদপূর্ণ হওয়ার পর কল্যাণ তহবিলের টাকা ৫০ ভাগ দেয়া যায় কি-না তা সুচিন্তিত মতামত আকারে পরবর্তী সভায় পেশ, গঠণতন্ত্র সংশোধন এবং ওকালতনামার মূল্য ১৬০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যা আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় ২০১৫ সালের আয় ও ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করা হয়। আয় ও ব্যয় দেখানো হয় ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ৯৪৩ টাকা ৬৩ পয়সা। ব্যাংকে বর্তমানে স্থিতি রয়েছে (৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) ২ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ২৩৬ টাকা ৩৭ পয়সা।
অডিট উপপরিষদের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্য আলী হোসেন ও হাজি এমএম মনোয়ার হোসেন অডিট প্রতিবেদন-২০১৫ তৈরি করেন। প্রতিবেদনে সমিতির রেজিস্ট্রার, খাতাপত্র, ক্যাশবই ও পাসবই সংরক্ষণ সন্তোষজনক বলে মত প্রকাশ করা হয়।