সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার ছয়ঘরিয়ার কলেজছাত্র শিমুল হত্যার ঘাতক সেকেন্দারের সহযোগী পলাতক হাসানকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে গ্রেফতারে অভিযান জোরদারের দাবি জানিয়েছে এলাকালাবাসী।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছয়ঘরিয়া গ্রামের চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র শিমুলের লাশ একই গ্রামের মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। ওইদিন ঘটনাস্থল থেকে একই গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে সেকেন্দার আলীকে জনতার সহযোগিতায় আটক করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ সেকেন্দারের ঘর থেকে শিমুলের ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি উদ্ধার করে। ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার সেকেন্দার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তার সহযোগী একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে হাসানের নাম উল্লেখ করে। সেই থেকে হাসান পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ হাসানকে গ্রেফতার করতে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। শিমুলের পিতা আহম্মদ আলীর দাবি শিমুলের লাশ উদ্ধারের দিন পুলিশি পদক্ষেপ দেখে মনে হয়েছিলো আমার ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করবে। কিন্তু সেকেন্দার গ্রেফতারের পর থেকে তার সহযোগীদের ধরতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। এলাকাবাসী মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছে, পুলিশ আন্তরিক হলে শিমুলের হত্যার সাথে জড়িত হাসানকে গ্রেফতার করতে পারতো। পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করার পাশাপাশি পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।