চুয়াডাঙ্গা চাঁদপুরের কাঠমিস্ত্রি মশালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এক কলেজছাত্রী ও তার পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা চাঁদপুর গ্রামের এক বখাটে কাঠমিস্ত্রির উত্ত্যক্ততার শিকার এক কলেজছাত্রীর কলেজে যাওয়া বন্ধ হতে বসেছে। বাড়ি থেকে বের হলেই ওই কলেজছাত্রীর পিছু লাগছে কাঠমিস্ত্রি মশাল। মশালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কলেজছাত্রীর গোটা পরিবার। একাধিকবার নিষেধ করা হলেও মশাল কর্ণপাত করছে না। বরং সে দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। কলেজছাত্রীর মোবাইলফোনেও হুমকিধামকিসহ আপত্তিকর এসএমএস পাঠাচ্ছে। বর্তমানে কলেজছাত্রী ফাতেমাসহ তার পরিবারের লোকজন কাঠমিস্ত্রি মশালের হুমকিধামকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এজন্য তারা পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান মোশারেফ হোসেন ওরফে মশাল পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। সে দুই সন্তানের জনক। কিন্তু মশাল দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী টেংরামারী গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে কলেজছাত্রী ফাতেমাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। একাধিকবার তাকে বারণ করা হয়। এমনকি গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও তাকে নিষেধ করেন। কিন্তু এতে কর্ণপাত করে না কাঠমিস্ত্রি মশাল। সে বিভিন্নভাবে ফাতেমাকে উত্ত্যক্ত করে।  ফাতেমা বর্তমানে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে এমএ অধ্যয়নরত। কিন্তু দুই সন্তানের জনক মশাল কাঠমিস্ত্রি হলেও বিভিন্নভাবে ফাতেমাকে প্রেম নিবেদন করে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ফাতেমা অভিযোগ করে জানান, মোবাইলফোনেও বিরক্ত করে মশাল। আপত্তিকর এসএমএস দেয়। তার প্রস্তাবে সাড়া না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। এছাড়া কলেজে যাওয়া আসার পথে পিছু লাগে সে। তাছাড়া সামাজিকভাবেও আমাকে ও আমার পরিবারকে হেয় করতে বিভিন্ন কুৎসা রটায়। তার কারণে আমার কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি পুলিশ ও জেলা প্রশাসন খতিয়ে দেখে মশালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে ফাতেমা আশা করছেন।