চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি বিদ্যুত সংযোগ না পাওয়ায় কোর্স চালু করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ

রফিকুল ইসলাম: শুধু বিদ্যুত সংযোগের অভাবে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি (টিটিসি) চালু করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ২২ কোটি ব্যয়ে নির্মিত টিটিসিতে ৭ মাস যাবত অধ্যক্ষসহ তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পেলেও এলাকার শিক্ষার্থীদের কোনো কাজেই আসছে না। কেন্দ্রের মালামালগুলো পড়ে থেকে দিনের পর দিন নষ্ট হতে চলেছে।

ওয়েস্ট জোন পাউয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটিড চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু হাসান দাবি করেছেন, আগামী সপ্তায় টিটিসির বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হবে। গত এক সপ্তা আগে গণপূর্ত বিভাগ বিদ্যুত সংযোগ পেতে দু লাখ টাকার ডিমান্ড জমা দিয়েছে। খুলনা থেকে খুব শিগগিরই এ সংক্রান্ত আদেশ হাতে পেলে বিদ্যুত সংযোগ কার্যক্রম শেষ হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদেশে প্রশিক্ষিত জনশক্তি রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে ভিমরুল্লাতে এক একর জমির ওপর ২২ কোটি ব্যয়ে ২০১২ সালের দিকে টিটিসির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও বিদ্যুত সংযোগ না হওয়ায় ভবন যেমন হস্তান্তর হচ্ছে না তেমনি শিক্ষা কার্যক্রমও শুরু করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

চুয়াডাঙ্গা টিটিসির অধ্যক্ষ আবুল হাশেম জানান, এ কেন্দ্র থেকে সিভিল কনস্ট্রাকশন, অটোমেটিক, ওয়েল্ডিং, মেশিন টুলস, গার্মেন্টস, ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক্স মোট ৮টি বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হবে। এখানে ৮ম শ্রেণি পাসের পর দু বছর মেয়াদী এসএসসি ভোকেশনাল কোর্স করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে ৪০ জন ভর্তি করা হলেও অন্যান্য বিভাগে ৩০ জন করে ভর্তি করা হবে। এছাড়া তিনমাস ও ছয় মাসের কোর্সের ব্যবস্থা আছে। বিদ্যুত সংযোগ না পাওয়ায় গত জানুয়ারি মাস থেকে কোর্স চালু করার ইচ্ছে থাকলেও পিছিয়ে যেতে হলো। এছাড়া টিটিসির সাইনবোর্ড লাগানোর কথা গণপূর্ত বিভাগকে জানালেও আজও লাগানো হয়নি এবং মালামালগুলো পড়ে নষ্ট হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অমিত কুমার দেব জানান, টিটিসির নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। সাবস্টেশন সংযোগের জন্য নির্ধারিত ফি সম্প্রতি জমা দেয়া হয়েছে। বিদ্যুত সংযোগ পেলে আনুসাঙ্গিক কাজ শিগগিরই সম্পন্ন করতে পারবো।