চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনায় পৃথক স্থানে নারী এবং স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত

প্রতিবাদ করায় একজনকে ক্ষুরের পোঁচ অপরজনকে লাঠিপেটা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার পৃথক স্থানে এক নারী ও এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় দুজন হামলার শিকার হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা শান্তিপাড়ার জাফর আলীকে (২০) ক্ষুরের পোঁচে রক্তাক্ত জখম করা হয় গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথামিক চিকিৎসা শেষে নেয়া হয়েছে বাড়ি। দর্শনা বাসস্ট্যান্ডপাড়ার সুমনকে (৩৪) লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন দর্শনা বাসস্ট্যান্ডপাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, মামাতো বোন স্কুলছাত্রী। স্কুলে যাওয়া আসার পথে একই এলাকার সুমির, উজ্জ্বল, আনিছ ও সোহেল উত্ত্যক্ত করে। শনিবার রাত ৮টার দিকে প্রতিবাদ করতে গেলে ওরা লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিকটজনেরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছে। সুমন এ অভিযোগ করলেও হামলাকারীদের সাথে অন্য কোনো বিরোধ আছে কি-না তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শান্তিপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে জাফর আলীকে (২০) গতকাল বিকেলে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তার হাতে-পায়ে ও মাথায় ক্ষুরের পোঁচ লেগেছে। ৯টি সেলাই দিতে হয়েছে। জাফর ও তার সাথে থাকা লোকজন অভিযোগ করে বলেছেন, একইপাড়ার কালু বেশ কিছু দিন ধরে এক এনজিওকর্মীর চাকরি করা স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি জানার পর জাফর প্রতিবাদ করতে শান্তিপাড়ার স্কুলমোড়ে যান। কালুর সাথে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে কালু ক্ষুর দিয়ে এলোপাতাড়ি পোঁচ মেরে সটকে পড়ে। জাফর ও তার লোকজন এ অভিযোগ করলেও কালুর তরফে তেমন কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।