চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত : ঢাকার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী

 

বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: গতকাল শুক্রবার ছিলো ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, র‌্যালি ও আলোচনাসভা।

অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপির আন্দোলনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া অনেক বারই দেশের মানুষকে ডেকেছেন। কিন্তু তার ডাকে কেউই সাড়া দেয়নি। হাসিনা বলেন, বিএনপি কিছুদিন পরপরই বিদেশি বন্ধুদের কাছে ধরনা দেয়। তারা ক’দিন পরপরই অ্যাম্বাসিতে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে নালিশ করে। তারা নালিশ করে কী পেয়েছে? তারা নালিশ করে বালিশ পেয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের গেল পাঁচ বছরের শাসনামলের সফলতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ থাকা সত্ত্বেও ১ জানুয়ারির মধ্যে ত্রিশ কোটি বই আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি। তারা ওই বইও পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলো।
তিনি বলেন, তাদের এতো নাশকতার পরেও আমরা রপ্তানিতে তিন শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটিয়েছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। মূল্যস্ফীতিও আগের তুলনায় অনেক কমেছে। তাই বিএনপি নেত্রী এখন আন্দোলনের নতুন ফর্মুলা খুঁজছেন। শুক্রবার বিকেল ৪টায় এ সমাবেশ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় শেখ হাসিনা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ সকাল সাড়ে ৬টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস ওয়ারা সুন্না, উপপ্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, শ্রমিকলীগের সভাপতি আফজালুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জহুরুর ইসলাম জোয়ার্দ্দার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুবায়েত বিন আজাদ সুস্তির, পাভেল প্রমুখ।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ঝিনাইদহে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে শহরের এইচএসএস সড়কে জেলা আওয়ামী কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, এক মিনিট নীরবতা পালন বঙ্গবন্ধুর প্রতকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকাল ৮টা থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাইকযোগে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাজানো হয়।

সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আজিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্কাচ আলী, মাহমুদুল ইসলাম ফোটন, আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, জীবন কুমার বিশ্বাস, অশোক কুমার ধর, আসাদুজ্জামান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার জাহান বাদশা, শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক লিকুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় নেতাকর্মীদের কণ্ঠে উচ্চারিত ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’সহ ইত্যাদি স্লোগানে দলীয় কার্যালয় এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। সভায় বক্তারা বলেন, ৭ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক দিন। বঙ্গবন্ধুর অনন্য সাধারণ নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণ এদেশের গণমানুষকে দারুণভাবে আন্দোলিত করে বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।