চুয়াডাঙ্গা উজলপুরের আদমব্যাপারী ফারুকের খপ্পরে পড়ে যদুপুরের জাহিরুল ও রিংকু পথে পথে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার উজলপুর গ্রামের আলোচিত গ্রাম্য কোয়াক ডাক্তার ফারুক হোসন একজন আদমব্যাপারী। তার খপ্পরে পড়ে যদুপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের জহিরুল ইসলাম ও মমিনুল ইসলাম ওরফে রিংকু সর্বস্ব হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন। ব্যাংকে টাকা না থাকলেও ইসলামী ব্যাংকের চেক দিয়ে প্রতারণা করেছেন ফারুক হোসেন। ভুক্তোভোগীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর মাঝেরপাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে জাহিরুল ইসলাম ও একই গ্রামের মন্টু মোল্লার ছেলে মমিনুল ইসলাম ওরফে রিংকু অভিযোগ করে বলেন, চার বছর আগে আমাদেরকে একই ইউনিয়নের উজলপুর বসুতিপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে গ্রাম্য কোয়াক ডাক্তার আলোচিত ফারুক হোসেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এদের মধ্যে ইরাকে নেয়ার নাম করে জাহিরুলের নিকট থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, কাতারে নেয়ার নাম করে রিংকুর নিকট থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা নেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ফারুক হোসেন তাদেরকে বিদেশে না নিয়ে গিয়ে তালবাহানা শুরু করে দেন। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে জাহিরুল ও রিংকু ফারুক হোসেনের নিকট টাকা ফেরত চান। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে ফারুক হোসেন কৌশল অবলম্বন করে জাহিরুলকে চুয়াডাঙ্গা ইসলামী ব্যাংকের দুটি চেকের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং রিংকুকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক দেন। পরে তারা ব্যাংকে গিয়ে খবর নিয়ে জানতে পারেন দুজনকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক দিলেও ব্যাংকে ওই অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২৭০ টাকা। ব্যাংকে টাকা না পেয়ে তারা ফারুক হোসেনের নিকট টাকার জন্য চাপ দিলে তিনি তাদেরকে হুমকিধামকি দিয়ে বলেন পারলে টাকা আদায় করে নিস। এদিকে ফারুকের হাতে তুলে দেয়া টাকা ফেরত না পেয়ে পথে পথে ঘুরছেন জাহিরুল ও রিংকু।

জাহিরুলের পিতা আনোয়ার হোসেন বলেন, টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে ফারুকের হাতে লাঞ্ছিত পর্যন্ত হয়েছি। একটি সূত্র বলেছে, ফারুক হোসেন তাদেরকে চেক লিখে দিয়ে চেক হারিয়ে গেছে অথবা ছিনতাই হয়েছে এ মর্মে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যাতে করে চেক জালিয়াতির মামলায় না পড়েন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফারুক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে মোবাইলফোন রিসিভ করে বলেন পরে কথা বলছি।