চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার মাদারহুদার খেলার মাঠের বিরোধ ডাকলো সর্বনাশ

লাঠি আঘাতে থমকে গেছে জীবনের ছন্দ

 

স্টাফ রিপোর্টার: ইউসুফ আলীর দূরন্তপনায় ছিলো না কমতি। স্কুলে যেতো, খেলার মাঠ দাঁপিয়ে বেড়ানোর পাশাপাশি পাড়ার পেয়ারা গাছও নজর এড়ায়নি তার। সেই দূরন্তপনা নেই, নেই বিদ্যালয়ে যাওয়ার ব্যস্ততা, খেলার মাঠেও যাওয়ার আর জো নেই তার।

খেলার মাঠেই সহখেলোয়াড়ের লাঠির আঘাতে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে নেমে এসেছে পতন। ১৩ বছরের ইউসুফ এখন নীরব। অথর্ব অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্তানের শয্যাপাশে মাও যেন নির্বাক। মায়ের অপলক দৃষ্টি বারবারই যেন বলে দিচ্ছে, ওকে তোমরা বাঁচাও। বুকের ধনকে তোমরা সুস্থ করে দাও। সুস্থ কি হবে ইউসুব?

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার মাদারহুদার ইদ্রিস আলীর ছেলে ইউসুফ আলী ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তো। কয়েক মাস আগে একদিন বিকেলে গ্রামেরই খেলার মাঠে খেলার সময় এক বন্ধুর সাথে ঝগড়া বাধলো। বন্ধু লাঠি দিয়ে মারলো মাথায়। সেই থেকে ইউসুফ আর সুস্থতা পায়নি, স্বাভাবিক জীবনযাপন এখন দূরহ। কখনো নীরব, কখনো যন্ত্রণায় কাতর। উম্মাদের মতো আচরণও ছিলো মাঝে মাঝে। কতো যে চিকিৎসকের নিকট নেয়া হলো তাকে! কিছুতেই যেন কিছু হয়নি, হচ্ছে না। সুস্থতা মিলছেই না। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকেরই পরামর্শে ঘুম আর গ্যাসের ওষুধ হয়ে উঠেছিলো প্রতি রাতের রুটিন। ইউসুফের মা এ তথ্য জানিয়ে বললেন, পরশু মঙ্গলবার রাতে ওর আব্বা ওকে ওষুধ খাওয়ানোর পর ঘুম পাড়ালো। সকালে ছেলে আর উঠছে না। নেড়ে দেখি অসাড়। উঠতে পারছে না। তাইতো হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছি। আমার ছেলে জন্য দোয়া করুন।

পরশু রাতে কী এমন ওষুধ খাওয়ানো হলো যে, কিশোর ইউসুফ অসাড় হয়ে গেলো? জবাব মেলেনি।