চুয়াডাঙ্গায় ৩ দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর। আমাদের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮০ ভাগ এবং শ্রমশক্তি ৬০ ভাগ কৃষিতে নিয়োজিত। গ্রামের উন্নয়নের কথা বলতে গেলে প্রথমে আসে কৃষি উন্নয়ন। কৃষি দেশের বৃহত্তর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা এবং অধিকাংশ জনগণই জীবন জীবিকা ও কর্মসংস্থানের জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই গ্রামীণ জনগণের জীবন মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে কৃষি কাজের বিকল্প নেই। চুয়াডাঙ্গায় ৩ দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপরোক্ত মন্তব্য করেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে আয়োজিত মুজিবনগর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশারফ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক নিত্য রঞ্জন বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান ও পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুরের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ নির্মল কুমার দে, মুজিবনগর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক  কৃষিবিদ মো. রুহুল কবির, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিক ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে। উৎপাদিত ফসলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের ঘাটতি খাদ্যের চাহিদা মেটাতে কৃষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তাই বর্তমান সরকার চাষাবাদে আধুনিকায়ন এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে অধিক ফসল উৎপাদন প্রক্রিয়া তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া উন্নত জাতের ফসল ফলানো, ভালো বীজ, সার, সেচ ও বালাই ব্যবস্থাপনাই যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি প্রয়োজন টেকসই কৃষি প্রযুক্তি।

পরে কৃষি কাজে অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ কিষাণ-কিষাণী পুরস্কার ২০১৫ প্রদান করা হয়। এবার শ্রেষ্ঠ কিষাণী নির্বাচিত হয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নকরকান্দী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী হাজেরা খাতুন ও শ্রেষ্ঠ কৃষক নির্বাচিত হয়েছেন একই উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের কালা চাঁদের ছেলে কামাল হোসেন। এবারের মেলায় কৃষি ও প্রযুক্তি বিষয়ক ১৮টি স্টল অংশ নিচ্ছে। মেলার সার্বিক তত্বাবধানে আছেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার তালহা জুবাইর মাসরুর। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও সদর উপজেলা কৃষি অফিসের যৌথ আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপি কৃষি ও প্রযুক্তি মেলায় সৌর সেচ প্রকল্প, বাড়ীর ছাদে স্থানান্তর যোগ্য ফল আনারস, কাঁচা চা পাতাসহ অসময়ের সবজি বাগান উপস্থিত অতিথি ও দর্শনার্থীদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এছাড়া স্টল পরিদর্শনকালে আরামপাড়ার রনিকে ছাদে ওপর টবে উৎপাদিত আকর্ষনীয় ফল ও সবজি দেখে প্রশংসা করেন অতিথিবৃন্দ। মেলার সমাপনী হবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে।