চুয়াডাঙ্গায় সড়ক রিপিয়ারিঙে বছরে কোটি টাকা ব্যয় হলেও থেকেই গেছে থকথকে ক্ষত

৬৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে সরোজগঞ্জ থেকে কুলপালা পর্যন্ত সড়ক পুনঃনির্মাণের ওয়ার্ক ওডার দিলেও বর্ষায় হচ্ছে বিলম্ব

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ থেকে কুলপালা পর্যন্ত ৬৭ কোটি ৬১ লাখ ৭২ হাজার ৯৬১ টাকা ব্যয়ে সড়ক পুনঃনির্মাণের কাজ পেয়েছেন মেহেরপুরের জহিরুল লিমিটেড। আগামী বছরের ১৯ জুনের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা থাকলেও কবে থেকে শুরু করা হবে তা অনিশ্চিত। ফলে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্বর থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া সড়কের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ কবে নাগাদ দূর হবে তারও কোনো ঠিক নেই। তবে ওই সড়ক রিপিয়ারিঙের নামে কাড়ি কাড়ি টাকা ভাউচারে খরচ দেখানো হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই।

জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের চুয়াডাঙ্গা উপবিভাগীয় প্রকৌশল দফতরের আওতাভুক্ত ১৪৫ কিলোমিটার রিপিয়ারিং মেনটেনেন্স বাবদ প্রতিবছরেই প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ টাকার সিংহভাগই নয়-ছয় হওয়ার অভিযোগ পুরোনো হলেও চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহীদ আবুল কাশেম সড়ক থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের বেহালদশা ফুটে উঠতেই নানা প্রশ্ন নতুন করে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। কবে নাগাদ এ সড়ক সংস্কার করা সম্ভব হবে, কবে নাগাদ দূর হবে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ? এসব প্রশ্নের জবাব জানতে সড়ক ও জনপথ বিভাগে কর্মরতরা বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের সরোজগঞ্জের নিকট থেকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে সড়কের কুলপালা পর্যন্ত সড়ক পুনঃনির্মাণের নিমিত্তে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। ৬৭ কোটি ৬১ লাখ ৭২ হাজার ৯৬১ টাকার এ কাজ পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেহেরপুরের জহিরুল লিমিটেড। ২০১৮ সালের ১৯ জুনের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করার কথা। বর্ষার কারণে ঠিকাদার কাজ শুরু করতে বিলম্ব করছেন। অথচ সড়কের বেশ কিছু স্থানে ভয়াবহ খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জেলা শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজ থেকে বাস টার্মিনাল  পর্যন্ত রাস্তা একেবারেই চলাচালে জো নেই। বৃষ্টির পানি জমে এতোটাই ভয়ানক রূপ নিয়েছে যে, প্রতিদিনই সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীদের প্রায় প্রতিদিনই কাদা মেখে একাকার হয়ে যেতে হচ্ছে। সড়কের ধারের কিছু দোকানিকেও কাদা মেখে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখে গেছে। সড়কের এতোটা ভয়াবহ দশা হলো কেন? সড়ক ও জনপথ বিভাগের চুয়াডাঙ্গার উপসহকারী প্রকৌশলী শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, ‘প্রতিদিনই রিপিয়ারিঙের কাজ করা হচ্ছে।’ এ কাজে ব্যয় হচ্ছে কতো টাকা? স্বচ্ছ জবাব মেলেনি। তিনি বলেছেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগের চুয়াডাঙ্গার আওতাভুক্ত ১৪৫ কিলোমিটার সড়কের রিপিয়ারিঙের জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ১ কোটি টাকা ইতোমধ্যেই ব্যয় হয়ে গেছে। চলতি অর্থ বছরের বরাদ্দ এখনো পাওয়া যায়নি। তার আগেই ব্যয় করতে হচ্ছে।