চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার আসামি শিক্ষক আহাদ আলীর জামিন নামঞ্জুর

স্টাফ রিপোর্টার: ধর্ষণের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আহাদ আলীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুনাল-১ আদালতের বিচারক মো. রবিউল ইসলাম এ আদেশ দেন। গতকাল এ মামলার সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিলো।

ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক আহাদ আলীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুল হক আসামি আহাদ আলীর জামিনের জন্য আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট মহা. শামসুজ্জোহা (পিপি) জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবী মানবতা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দিন খান ও নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার জামিনের বিরোধিতা করে বক্তব্য রাখেন। আদালতের বিচারক শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মানি খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য থাকলেও আদালত থেকে এজাহারকারী বরাবর সমন ইস্যু না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হোক বাদীপক্ষ এটাই চাই। গত বছরের ২৬ মে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই পিয়ার উদ্দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে ৯ (১) ধারায় শিক্ষক আহাদ আলীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠন করেন।

প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের এক সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক আহাদ আলীকে তার চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে বলে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন। গত বছরের ২৯ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে শিক্ষক আহাদ আলীর থানা কাউন্সিলপাড়ার বাড়িতে এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ৪ মে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বিক্ষোভ করে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা অভিযুক্ত শিক্ষককে গণধোলাই দেন। এরপর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ভিকটিমের ভগ্নিপতি মামলা করলে পুলিশ আহাদ আলীকে গ্রেফতার করে। সেই থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন শিক্ষক আহাদ আলী।