চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমেছে : বেড়েছে শীতের তীব্রতা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপ মাত্রার ব্যবধান হ্রাস পেয়েছে। বেড়েছে শীতের তীব্রতা। যদিও গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গত কয়েক দিনের তুলনায় দু থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এক লাফে গতকাল ৬ ডিগ্রি হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে কনকনে শীত অনুভূত হতে শুরু করে। এছাড়া পরশু মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা পড়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সারাদেশে রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১২ দশমিক ৯ ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সিলেট এ সীতাকুণ্ডে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

অপরদিকে, হঠাৎ করেই উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। একদিন আগেও যেখানে খুব বেশি শীত অনুভূত হয়নি সেখানে রোববার ভোর থেকে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আকস্মিক শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২১ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াস।

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার (বিএম) মীর আব্দুর রউফ জানান, এ মাসের শেষের দিকে উত্তরাঞ্চলে একটি শৈত্যপ্রবাহ আসার সম্ভাবনা আছে। তারই পূর্বাভাস হিসেবেই হয়ত হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে রোববার ভোর থেকেই ঠাণ্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের গতি বেড়ে যায়। সেই সাথে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। দিনভর সূর্য না ওঠায় সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়।

হঠাৎ শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে বস্ত্রহীন ছিন্নমূল মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছে। শীতের এই তীব্রতা অব্যাহত থাকলে এসব দরিদ্র মানুষের জীবন আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠতে পারে।

ঘন কুয়াশার কারণে গতরাতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নদীর মাঝে ৫টি ফেরি নোঙড় করে। নদী পার হতে না পেরে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়ায় অসংখ্য যাত্রীবাহী নৈশকোচসহ ট্রাক আটকে পড়েছে।