চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস শৈত্য প্রবাহ : হাসপাতালে ভর্তি ৪৬ শিশু

স্টাফ রিপোর্টার: অব্যাহত শৈত্য প্রবাহে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল বেলা ৯টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার রোটা ভাইরাস ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৪৬ শিশু। তীব্র শীতের মধ্যে গতকাল সন্ধ্যার পর জীবননগরের উথলী, দর্শনাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি ঝরেছে।

চুয়াডাঙ্গায় কনকনে ঠাণ্ডা ও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। জেলায় শীতজনিত রোগের প্রকোপও বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৪৬ শিশু। এসব শিশুর বেশির ভাগই রোটা ভাইরাস ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত। তিনি আরো বলেন, ৬ মাস থেকে দেড় বছর বয়সী শিশুরা পানিবাহিত কারণে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। টুপি-মোজা পড়ে থাকতে শিশুদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন জানান, চুয়াডাঙ্গায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা প্রায় অর্ধেকে নেমে যাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতাও বেড়ে গেছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুর ও সৈয়দপুরে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।