চুয়াডাঙ্গায় রমজানকে সামনে রেখে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়ের বীজ বিতরণকালে কর্মকর্তারা

 

নির্ধারিত সময়ের আগেই গরু উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে

স্টাফ রিপোর্টার: নির্ধারিত সময়ের আগেই চুয়াডাঙ্গায় গরু উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গরুর বাচ্চা উৎপাদনে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়ের বীজ বিতরণকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব কথা জানান। রমজানকে সামনে রেখে গরু পালন বৃদ্ধির বিষয়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগ এসব উদ্যোগ নিয়েছে।

পশু সম্পদ উৎপাদন বিভাগের কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক (এপি) কৃষিবিদ আব্দুল হান্নান জানান, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার গাভী কৃত্রিম প্রজনন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বাছুর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ হাজার ৮০৩টি। গত বছরের জুলাই থেকে গত মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে অর্জিত হয়েছে ৪২ হাজার ৩০৯ বাছুর। জেলার ৩১ উপকেন্দ্রে ১৭ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে এসব সেবা দেয়া হবে। উপকেন্দ্রে প্রতিটি ফ্রিজিয়ানের জন্য ৩০ টাকা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা ৭০ টাকা করে নেন। এরমধ্যে ২৭ টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। প্রথম লক্ষ্য দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা। ২ বছর পর গরু খাওয়ার উপযোগী হয়। প্রতিদিন একজন মানুষ ২৫০ মিলি দুধ পান দরকার। সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম হায়দার জানান, আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে গরু উৎপাদন ও পালন খুবই কার্যকর পদক্ষেপ। এ জন্য গরুর মালিকদের স্বতঃফূর্তভাবে এগিয়ে আসা দরকার।