চুয়াডাঙ্গায় মেঘ দেখে ভয়ে মুখ লুকোয় বিদ্যুত ॥ গরমে তোলে নাভিশ্বাস

স্টাফ রিপোর্টার: আকাশে মেঘ হলেও ফুটে উঠছে চুয়াডাঙ্গা বিদ্যুত বিতরণের করুণদশা, একটু ভ্যাপসা গরম পড়লেও শুরু হচ্ছে বিদ্যুতের অসহনীয় আসা-যাওয়া। ফলে চুয়াডাঙ্গার বিদ্যুত গ্রাহক সাধারণ বরুদের মতো ফুঁসতে শুরু করেছে। গতপরশু বৃষ্টির কারণে দফায় দফায় বিদুতের আসা-যাওয়ার বিড়ম্বনায় পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থাকতেই গতকাল শনিবার বিকেলে তিনটি ফিডারে সাড়ে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় ক্ষোভের মাত্রা বেড়েছে। যদিও নিজস্ব ডায়নামার কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের অতোটা দুর্ভোগের শিকার হতে হয়নি।
গতকাল শনিবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে চুয়াডাঙ্গার হাজরাহাটি, কলেজ ও হাসপাতাল ফিডার তিনটিতে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। চালু হয় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে। কেন? ওজোপাডিকোর চুয়াডাঙ্গা বিতরণ বিভাগের সুইচবোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসএম ওবাইদুল্লাহ বলেছেন, বিদ্যুত বিতরণ কেন্দ্রের সুইচবোর্ডের কাছের ১১ কেভি ট্রান্সমিটার বিকল হয়ে যায়। বাস্ট হয়ে বিকল হওয়ার পর সন্ধ্যায় মাইকে প্রচার করে বিদ্যুত সরবরাহ সাময়িক বিঘিœত হওয়ার বিষয়টি গ্রাহক সাধারণকে জানানো হয়। বলা হয় মেরামত করে রাত ১০টা নাগাদ বিদ্যুত বন্ধ থাকার কথা বলা হলেও ১৫ মিনিট আগেই মেরামত করে বিদ্যুত সরবরাহ করা সম্ভব হয়।
এছাড়া অন্যান্য ফিডারে গতকাল লোডশেডিংও দেয়া হয়েছে। কারণ চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরের জন্য গতকাল চাহিদা ছিলো ১৯ মেগাওয়াট। পাওয়া গেছে ১৩ মেগাওয়াট। এ কারণে ওই তিনটি ফিডার ছাড়া বাকি ফিডারগুলোতে লোডশেডিং দিতে হয়েছে। গতপরশু বৃষ্টির দিনে ও গতকাল বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতের বেহালদশার চিত্র দেখে গ্রাহকদের কেউ কেউ ফোড়ং কেটে বলেছে, চুয়াডাঙ্গায় মেঘ দেখলেই ভয়ে মুখ লুকায় বিদ্যুত, গরমে তোলে নাভিশ্বাস।