চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতের লোভোল্টেজ সমস্যা প্রকট

 

খাইরুজ্জামান সেতু: লোডশেডিং তো আছেই, তার ওপর বেড়েছে বিদ্যুতের লোভোল্টেজ সমস্যা। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে এ সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। অথচ এক সময় বলা হতো, জাফরপুরে সাবগ্রিড স্টেশন চালু হলে বিদ্যুতের গুণগত মান বাড়বে। অবাক হলেও সত্য যে, গ্রিড সাব স্টেশন চালু হলেও বাড়েনি বিদ্যুতের মান। বরঞ্চ ভোল্টেজ সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে। ফলে গ্রাহকদের অনেকেরই বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি লোভোল্টেজের কারণে বিকল হয়ে যাচ্ছে। ফিরিজে কোরবানর মাংস? তাও রাখা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গরম বাড়লেই চুয়াডাঙ্গায় যেমন বাড়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং, তেমনই ২২০ ভোল্টেজের বিদ্যুত ১৮০ ও থাকে না। মাঝে মাঝে ভোল্টেজের ওঠানামা শুধু বিরক্তিরই কারণ হয়ে ওঠে না, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি পুড়ে বিনষ্ট হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার প্রায় সবকটি ফিডারেই এ অভিন্ন সমস্যা। এর মধ্যে বড়বাজার আর হাজরাহাটি ফিডারের দশা খুবই খারাপ। সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রাহকদের অনেকেই এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, নালিশ করেও কোনো প্রতিকারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ওজোপাডিকো চুয়াডাঙ্গা বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুবক্তগীনের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা বিতরণ কেন্দ্রে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা। এ চাহিদা গড়ে ২০ মেগাওয়াট। চুয়াডাঙ্গা বিতরণ কেন্দ্র থেকে চুযাডাঙ্গার ৫টি ফিডারসহ মেহেরপুর ও আলমডাঙ্গায় বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও বিজিবি ফিডারে সাড়ে তিন মেগাওয়াট করে, হাসপাতাল ফিডারে ২, বড়বাজার ফিডারে ৩ ও হাজরাহাটি ফিডারে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা। মেহেরপুরে সাড়ে ৪ ও আলমডাঙ্গায় সাড়ে ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুত দেয়া হয়। যখন বিদ্যুত চাহিদা মতো পাওয়া যায় না তখন ফিডারগুলোতে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং দিতে হয়। আর ভোল্টেজ সমস্যাটা উৎপাদন কেন্দ্র থেকেই। এরপর কিছু ফিডারভিত্তিক লোভোল্টেজ এবং ভোল্টেজ ওঠানামার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ট্রান্সমিটার দায়ী। অতিরিক্ত চাপের কারণে ট্রান্সমিটারগুলোর ফেজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি আগামী প্রকল্পে উচ্চ ক্ষমতার ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হবে। তখন এ সমস্যা থাকবে না।