চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির বৈঠক হয়নি : আলমডাঙ্গায় জরুরিসভায় জোরদার আন্দোলনের প্রস্তুতি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা বিএনপি ২৫ অক্টোবর ও পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণের লক্ষ্যে সভার প্রাথমিক প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ক’দিন আগে সংগ্রাম কমিটি গঠন ভেস্তে যাওয়ার জের ধরেই শেষ পর্যন্ত জেলা বিএনপির কর্মপন্থা বৈঠক হয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে আলমডাঙ্গা বিএনপি গতকাল জরুরিসভা করেছে। জরুরিসভায় কর্মপন্থা নির্ধারণও করেছেন নেতৃবৃন্দ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি, বিএনপি একাংশসহ মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সমর্থকরা নিজ নিজ কার্যালয় এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ করতে পারে।  এরকমই প্রস্তুতির খবর পাওয়া গেছে। বিএনপির একাংশ শহীদ হাসান চত্বরে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও মেলেনি। এ পক্ষ অর্থাৎ অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস পক্ষ আজ যেকোনো সময় শহীদ হাসান চত্বর উত্তপ্ত করতে পারে। এরকম তথ্য পেয়ে পুলিশ প্রতিহত করতে বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও জানা গেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে গত ১৮ অক্টোবর এক সভা আহ্বায়ন করা হয়। ১৮ দলীয় জোটের চুয়াডাঙ্গা সংগ্রাম কমিটি গঠনের বিষয়ে আহ্বায়ক হিসেবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে জেলা জামায়াতের সহসম্পাদক রুহুল আমিনের নাম প্রস্তাব আকারে উঠে আসে। জেলা বিএনপির সভাপতি হাজি মো. মোজাম্মেল হককে উপদেষ্টা হিসেবে রাখার কথা হয়। শেষ পর্যন্ত কমিটি গঠন ছাড়ায় সে সভা মুলতবি হয়। এরই মাঝে হাজির উদ্বিগ্নের ২৫ অক্টোবর। এদিনে ও পরবর্তীতে করণীয় নির্ধারণে গতকাল বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলাসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠকের প্রস্তুতি নেন। জেলা বিএনপি কার্যালয়েই নেতৃবৃন্দকে আহ্বান করা হয়। পরে হাজি মো. মোজাম্মেল হকের উপস্থিতি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লে হাজি মো. মোজাম্মেল হকের বাসায় বৈঠকের কথা জানানো হয়। তাতেও সভাপতির গররাজির কারণেই বৈঠক হয়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে,  গতকাল সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে দলীয় অফিসে জরুরিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সহিদুল কাউনাইন টিলু। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বেগম খারেদা জিয়ার ডাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি সদা প্রস্তুত। যেকোনো আন্দোলনে আমরা ঝাপিঁয়ে পড়বো। ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল জব্বার। সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন রেজাউল হক, আব্দুল লতিফ তোতা, হাফিজুর রহমান চমক, শরিফ উদ্দিন, শওকত খান, আব্দুল রশিদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মাগরিবুর রহমান, ওহিদুল ইসলাম, গোলাম হোসেন, পৌর যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক ফারুক হোসেন, মঞ্জু রহমান, কনক, মুমকুল, খাজা করিম, গোলাম বিশ্বাস, শরিফ, শোয়েব, জসিম, মামুন, চান্দু, বোরহান, রাজিব, আলাল, জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক তৌফিক খান, শওকত ওসমান, রহিদুজ্জামান, সজীব, মামুন, শাকিল, সোহাগ, রুবেল, সুইট প্রমুখ।