চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিয়ে নিরোধ বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

জরিপ অনুযায় বাল্যবিয়ের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে চুয়াডাঙ্গা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিয়ে নিরোধ, ফ্রন্টডেস্ক ও সিটিজেন চার্টার বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভার্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবু সাঈদ, সহকারী পুলিশ সুপার মো. ছুফিউল্লাহ ও জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদসহ জেলা ও উপজেলা পর্য়ায়ের সরকারি কর্মকর্তা, ইমাম ও নিকাহ রেজিস্ট্রার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান, দামুড়হদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাফিজ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন, জেলা তথ্য অফিসার আবুবকর সিদ্দিক, চুয়াডাঙ্গা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, কাজি শামসুল হক প্রমুখ।

মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি আবদুল হালিম বলেন, দেশের ২০১৩ সালের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী বাল্যবিয়ের সর্বাধিক সংখ্যার দিক থেকে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে চুয়াডাঙ্গা জেলা। বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে তা নিরসনে সকলকেই একযোগে কাজ করার পরামর্শ দেন। চুয়াডাঙ্গায় ৪শ ৩৪ জন নিকাহ রেজিস্ট্রারের সংখ্যা। প্রধান অতিথি আরও বলেন, নিকাহ রেজিস্টারের (কাজীর) কোনো সহকারী থাকবে না। একাধিক রেজিস্ট্রার বই এক সাথে ব্যবহার করা যাবে না। একটি রেজিস্ট্রার বই শেষ হলে আর একটি বই ব্যবহার হবে। বিয়ে পড়ানোর অনেক পরেও যদি বাল্যবিয়ের প্রমাণ মেলে তবে সংশ্লিষ্ট কাজির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয় যাবে। জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, এ জেলায় আমি অল্পদিন এসেছি। আমরা আমাদের বক্তব্যে বাল্যবিয়ের কুফল ও বাল্যবিয়ে অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করছি। তবে এখন যদি বাল্যবিয়ে সম্পর্কে জরিপ করা যায় চুয়াডঙ্গা জেলা আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে না। কারণ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, ইমাম ও নিকাহ রেজিস্ট্রারসহ (কাজী) সর্বস্তরের মানুষ অধিক সচেতন।