স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১০টায় জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনভোশেন ইউনিট বাল্যবিয়ে নিরোধ সংক্রান্ত কাজিদের ভূমিকা শীর্ষক এ কর্মশালার আযোজন করে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কাজি সমিতির সভাপতি রবিউল হক আনছারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদ। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সদর সাবরেজিস্ট্রার আবদুর রব ও জীবননগর সাবরেজিস্ট্রার নাজনীন জাহানসহ জেলার কাজি সমিতির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় কাজি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা জেলা কাজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মোশারফ হোসেন, আলমডাঙ্গার মনিরুদ্দিন, কুতুবপুরের মাহমুদুল হাসান, জেহালার আনোয়ার হোসেন ও দর্শনার হাবিবুর রহমান।
কর্মশালায় কাজিরা তাদের বক্তব্যে বলেন- বাল্যবিয়ে অভিশপ্ত। তার চেয়ে বেশি অভিশপ্ত কাজীরা। বাল্যবিয়ে প্রথমে ঘটক এবং পিতা-মাতা সংগঠিত করে। কাজী সবশেষ জানেন। অথচ কারোর কিছুই হয় না। কিন্তু কাজিরা জেলে যানয়। এ অপমান লজ্জা থেকে কাজিরা মুক্তি চান। কাজিরা ক্ষোভের সাথে বলেন, তারা সকলেই উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু সমাজে যারা লেখাপড়া জানেন না তারা তাদেরকে ঘাড়ে ধাক্কা দেন। আবার কেউ কেউ নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য এলকায় বিয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। যা আদৌও বিধিসম্মত নয়। ওই সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
কর্মশালার প্রধান অতিথি জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদ বলেন, একজন সনদপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্ট্রার একটি সুনির্দিষ্ট অধিক্ষেত্র বা সীমানোর মধ্যে কাজ করার ক্ষমতা প্রাপ্ত হন। এর বাইরে কাজ করলে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অসদাচরণের দায়ে তার সনদটি বাতিল হবে। বর ও কনের বয়স প্রমাণ করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র, জেএসসি বা এসএসসি পরীক্ষার সনদ যাচাই করে বরে বয়স ২১ ও কনের বয়স ১৮ বছর নিশ্চিত হয়েই বিয়ের কাজ করতে পারবেন। অন্যথায় সনদ বাতিলসহ দণ্ডনীয় অপরাধে দণ্ডিত হবেন।