চুয়াডাঙ্গায় পৃথক তিন স্থানে পৃথক দুর্ঘটনায় দু শিশুসহ আহত ৫

 

স্টাফ রিপোর্টার: মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ৮ বছরের এক শিশুসহ আহত হয়েছে তিন জন। গত রোববার রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-দামুড়হুদা সড়কের পুলিশ লাইনের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের হাতিকাটা মোড়ে দুটি অপোর সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দিগড়ির চাঁন মিয়া (৪৫)। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে ঘরে ঝুলিয়ে রাখা মইয়ে উঠে খেলতে গিয়ে হানুরবাড়াদির এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।

আহতদের শয্যাপাশে থাকা লোকজন ঘটনার বর্ণন দিতে গিয়ে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দক্ষিণ হাসপাতারপাড়ার এলাহী মণ্ডলের ছেলে বিশারত গতকাল সন্ধ্যার পর দর্শনা এলাকা থেকে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিলেন। পুলিশ লাইনের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন কালিচন্দ্র ও কৃষ্ণ লালের ৮ বছর বয়সী শিশুসন্তান দীপু। মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পথচারীদের ধাক্কা মেরে মোটরসাইকেলচালক বিশারত আছড়ে পড়েন। স্থানীয়রা তিনজনকেই উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।

অপরদিকে সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের হাতিকাটা মোড়ে অটোরিকশায় যাত্রী নেয়ার সময় পেছন থেকে অপর একটি অটো ধাক্কা দেয়। যাত্রী চাঁন মিয়া আছড়ে পড়ে। এ সময় একটি বাস এসে তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। আহত চাঁনমিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দিগড়ির সিদ্দিক দেওয়ানের ছেলে।

এদিকে ঘরের পেছনে ঝুলিয়ে রাখা মইয়ে উঠে খেলতে গিয়ে আছড়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে শাপলা নামের ৬ বছরের এক শিশু। সে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হানুরবাড়াদির মিনারুল ইসলামের ছেলে। গত রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা বলেছে, ট্রাকে মালামার তোলা বড় মই ঘরের পেছনে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তাতে উঠে খেলতে যায় কয়েক শিশু। আছড়ে পড়ে গুরুতর আহত হয় শাপলা। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতকালই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।