চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক

 

বিচার তরান্বিত করতে তদন্তকারী কর্মকর্তার দ্রুত সাক্ষ্যদান দরকার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি মাসিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১০টায় জেলা জজ আদালতের সম্মেলনকক্ষে কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সে বিচারক, আইনজীবী ও পুলিশের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম বেনজীর, সহকারি পুলিশ সুপার মো. ছুফিউল্লাহ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল ওহাব মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মিলন মুখার্জী ও ডেপুটি জেলার ফয়েজ-উর-রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান, জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির, কোর্ট পরিদর্শক আজিজুল হক, আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) নাজমুল হুদা ও সদর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচএম কামরুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। যার মধ্যে রয়েছে- পেন্ডিং প্রসেস জারিতে সমস্যা, সাক্ষীর আদালতে হাজিরা নিশ্চিতকরণ, সাক্ষীর আদালতে আসা-যাওয়া নিরাপত্তা বিধান, অনুসন্ধান ও তদন্তের অসুবিধা দূরীকরণ, তাড়াতাড়ি মামলা নিষ্পত্তির ব্যাপারে পদক্ষেপসহ আদালত সংশ্লিষ্ট ১১টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এবিএম মাহমুদুল হক বলেন, চুয়াডাঙ্গায় ৮ হাজার মামলা পেন্ডিং রয়েছে। এর মধ্যে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ হাজার মামলা রয়েছে। চলতি বছরে ৩ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু মামলা নিষ্পত্তি করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষীর প্রয়োজন হয়। অথচ ১৫ বছর পার হয়ে গেলেও ১০০ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষীর অভাবে মামলা নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না। সেজন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আদালতে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতের ওপর জোর দিতে হবে।