চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র ঈদুল আজহার নামে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দেড় কোটি টাকা ভাড়া হিসেবে লুটে নিচ্ছেন পরিবহন মালিকরা!

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-ঢাকাগামী কোচযাত্রীদের কাছ থেকে পবিত্র ঈদুল আজহা আসার পূর্বেই অতিরিক্ত হারে টিকেটের মূল্যে আদায় শুরু করা হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গামুখি টিকেটের মূল্যে বৃদ্ধির ফলে যাত্রীদের সাথে বাসের লোকজনদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কারণে যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। ২৭ দিনে যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদুল আজহার নামে অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা লুটে নিচ্ছেন পরিবহন মালিকরা। যাত্রী ও প্রশাসনকে না জানিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন অসহায় যাত্রীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে। ঈদ উপলক্ষে কাউন্টারগুলোতে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। টিকিট পেতে যাত্রীদের বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ঈদের টিকিট আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে। অথচ তার পূর্বেই গত ২৪ আগস্ট থেকে ঢাকা থেকে সাড়ে ৪০০ টাকার টিকিট কাউন্টারগুলো ৫০০ টাকা নেয় শুরু করেছে এবং চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে টিকেটের মূল্যে নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৫০০ টাকা। এসি কোচের টিকিট ৬০০ টাকার স্থলে ৮০০ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে ঈদের পরদিন থেকে ১০ দিন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী টিকেটের মূল্যে বাড়তি হারে আদায় করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী পূর্বাশা পরিবহনের ১২টি, চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের ১০টি, রয়েল এক্সপ্রেসের ১১টি, জেআর পরিবহনের ১০টি, এসএম পরিবহনের ৩টি, মেহেরপুর ডিলাক্সের ৩টি, সুমন ডিলাক্সের ১টি, দর্শনা ডিলাক্সের ৩টি, দর্শনা থেকে ঝিনাইদহ লাইন, কোহিনুর পরিবহন, জে লাইন পরিবহন, ঈগল পরিবহন এবং চট্টগ্রামগামী শ্যামলী, জেআর ও রয়েল এক্সপ্রেস বাস চলাচল করে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ার আতিয়ার রহমান জানান, ঈদের আগে গত ২৫ আগস্ট তিনি নিজে অতিরিক্ত ৫০ টাকা এবং পরদিন তার ভাই-ভাবী এসি বাসে অতিরিক্ত ২০০ টাকা বেশি দিয়ে বাড়ি এসেছেন। অহেতুক টিকিটের দাম বাড়িয়ে যাত্রীদের সাথে বাস মালিকরা প্রতারণা করছে। প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন এটাই আশা করবো।

চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন মুক্তা জানান, মাইল হিসেবে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকার টিকিটের মূল্য ৫৫৩ টাকা। অথচ বাসমালিকরা ৪৫০ টাকা হারে টিকিটের দাম আদায় করেন। এ সময়ে ঢাকায় যেতে বেশির ভাগ সিট খালি থাকে। সে কারণে পুষিয়ে নিতে বাসমালিকরা প্রকৃত ভাড়া আদায় করে থাকেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ’র  সহকারী পরিচালক শেখ আশরাকুর রহমানকে মোবাইলফোনে পাওয়া যায়নি। একইভাবে পরিদর্শক এসএম সবুজ তিনিও মোবাইলফোন ধরেননি।