চুয়াডাঙ্গায় তালাভেঙে আয়েশ করে চোর সাবাড় করছে সব

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘বাড়ি ঘরে তালা মেরে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যাবেন? আশে পাশেই ওঁতপেতে বসে চোর। তালা ভেঙে ঘরের খাটে বসে বিড়ি ফুকে নির্বিঘ্নেই সাবাড় করবে সব। সুযোগ বুঝে একটু ঘুমিয়েও নেবে চোর।’ গতকাল শুক্রবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়াস্থ সাতভাই পুকুরপাড়ে ফিরে বাড়ি ঘরের দৃশ্য দেখে এরকমই মন্তব্য করেন জসিম উদ্দীন।

জসিম উদ্দীন বলেছেন, গতপরশু বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি মুজিবনগরে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বাড়ির মূল দরজাসহ ভেতরের গ্রিল ও ঘরের দরজাতেও মেরেছিলাম তালা। শুক্রবার বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখি বাড়ির মূল দরজায় তালা ঝুলছে ঠিকই। তালা খুলে দরজায় ধাক্কা দিলেও দেখি কাজ হচ্ছে না। পাচিল টপকে ভেতরে ঢুকেই বুঝি চোরও পাচিল টপকেই ভেতরে ডুকেছে। গ্রিল ও ঘরের তালা ভেঙেছে। সব ঘরের আসবাবপত্রসহ সব কিছু তছনছ করে প্রায় ৪ ভোরি ওজনের সোনার গয়নাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালামাল চুরি করেছে। তবে শাড়ি-কাপড় জাতীয় কিছু নেয়নি। ঘরে বসে বহু সিগারেটও খেয়েছে। তার আলামত পড়ে রয়েছে দুটি ঘরের প্রায় সব স্থানে। বিশেষ করে একটি খাটের পাশে বহু সিগারেটের শেষাংশ। ধারণা করা হচ্ছে ওই খাটে চোর বোধ হয় শুয়ে একটু জিড়িয়েও নিয়েছে। রান্না ঘর থেকে বটি নিয়ে শোয়ার ওই ঘরের শোফার ওপর রেখেছে। কেনো রেখেছে তা অবশ্য বোঝা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ওই বটি দিয়ে সে কোনকিছু কাটার চেষ্টা করেছে।

খবর দেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায়। রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই সুমন সরকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। না, গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ চোরের টিকি ছুতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া সোনার তিনটি চেন, একজোড়া কানের দুল। মামলা হলেও প্রকৃত চোর কি ধরা পড়বে? এ প্রশ্ন তুলে প্রতিবেশীদের অনেকেই বলেছেন, এইতো কয়েক মাস আগেও একই পাড়ায় একই কায়দায় ৪টি বাড়িতে চুরি হয়েছে। চোর ধরা পড়েনি। চোরের উৎপাত বেড়েই চলেছে। চোরের উপদ্রবে একটু বেড়াতে যাওয়ারও উপায় নেই।