চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০১৪ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় সিভিল সার্জন কার্যালয় মিলনায়তনে অবহিতকরণ বিষয়ে সংবাদ সস্মেলনের আয়োজন করা হয়। আগামী ৫ এপ্রিল শনিবার চুয়াডাঙ্গাসহ দেশব্যাপি পালিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচি।

সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. খন্দকার মিজানুর রহমান জানান, জেলায় ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১৫ হাজার ৩৭৬ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১ থেকে ৫ বছর বয়সী ১ লাখ ১৭ হাজার ৬০ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে। এছাড়া বাদপড়া শিশুদেরকে পরবর্তী চারদিন খুঁজে বের করে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে। জেলার ৯৬৫টি কেন্দ্রে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে সদর উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২ হাজার ৯৪৭ জন শিশু ও ১ থেকে ৫ বছরের ২৩ হাজার ৬৯৮ জন শিশু, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪ হাজার ২২২ জন শিশু ও ১ থেকে ৫ বছরের ৩২ হাজার ৬৬১ জন শিশু, দামুড়হুদা উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু ৩ হাজার ১২২ জন শিশু ও ১ থেকে ৫ বছরের ২৪ হাজার ৩২৩ জন শিশু এবং জীবননগর উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু ২ হাজার ৬০ জন শিশু ও ১ থেকে ৫ বছরের ১৫ হাজার ৪৫৯ জন শিশুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১ হাজার ১০০ শিশু ও ১ থেকে ৫ বছরের ৯ হাজার ৮৮০ জন শিশু,  আলমডাঙ্গা  পৌরসভায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৬৩০ শিশু ও ১ থেকে ৫ বছরের ৪ হাজার ৩৮৫ জন শিশু, দর্শনা পৌরসভায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৫৪ শিশু ও ১ থেকে ৫ বছরের ২ হাজার ৯৯৯ জন শিশু এবং জীবননগর পৌরসভায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩০৫ শিশু ও ১ থেকে ৫ বছরের ৩ হাজার ১৪৫ জন শিশুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টিসেবা স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএমএ’র সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, ইপিআই সুপার আব্দুর রাজ্জাক, জেলা স্বাস্থ্য সেনেটারি পরিদর্শক জামাত আলী, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা রবজেল হোসেন ও জেলা পরিসংখ্যানবীদ আকতার হোসেন।