স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ঘুষ দুর্নীতি বন্ধে ১১ দফা দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে মহাজোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ ১১ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের কাছে পেশ করেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতিসিরাজুল ইসলাম শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন উমর স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, গত ৫ জুন অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণের ওপর নানান রকম কর বসিয়ে জনগণের সমস্যার সমাধান দূরের কথা বরং সমস্যা আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে। বাজেট এলে জিনিসপত্রের মূল্য বাড়ে, মুদ্রাস্ফীতি ঘটে। এছাড়া৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। অপহরণ, হত্যা, খুন, গুম,চাঁদাবাজি বেড়েই চলেছে। জনগণ আতঙ্কের মধ্যে আছে। পুলিশ বা প্রশাসন নিশ্চুপ।এব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই। ওয়ার্কার্স পার্টি পুলিশ এবং প্রশাসনের পদক্ষেপ কামনা করেছে।ঘুষ, দুর্নীতি বেড়ে গেছে, আস্তে আস্তে ঘুষ দুর্নীতি তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কারণে বর্তমান সরকারের যে অর্জন তা না দেখে জনগণ এসরকারের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাই সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে।
দাবিসমুহ হচ্ছে-ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ, বাজেটে কৃষি ভর্তুকি বৃদ্ধি, সার,বীজ,ডিজেল ও কীটনাশকসহ কৃষি সরঞ্জামাদির মূল্য বর্তমান মূল্যের তুলনায় অর্ধেক করা; কৃষি ফসলের ন্যাযমূল্য নিশ্চিত করা; শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি,বেতন,বই,খাতা ও কলম বর্তমান মূল্যের অর্ধেক করা; শিল্পক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও বন্ধ কলকারখানা খুলে দেয়া; স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি,ওষুধ,ক্লিনিক ভাড়া ও ডাক্তারের ফিস বর্তমানের তুলনায় অর্ধেক করা; চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ভেটেরিনারি ইনস্টিটিউটকে (প্রাণিচিকিৎসা শিক্ষায়তন) বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা; চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উন্নীতকরণ; বিএডিসিতে ব্যবসাদারদের পরিবর্তে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে বীজ কেনার ব্যবস্থা করা; নদী-নালা, খাল-বিল খনন করা ও পানি সমস্যার সমাধান করা; চুয়াডাঙ্গাতে হিমাগার স্থাপন করে কৃষি ফসলের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং বিদ্যুত ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও এর মূল্য কমানো।