চুয়াডাঙ্গায় কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ৫২ হাজার গরু

 

এমআর বাবু: আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় কোররবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৫২ হাজার গরু। এর মধ্যে জীবননগর উপজেলায় মোটাতাজা করা হয়েছে ১১ হাজার গরু। ঈদের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। শেষ সময়ে কোরবানির হাটে জমজমাট ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গতবারের তুলনায় এবারের গরুর দাম একটু বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা সাধারণ। তবে খামারিরা বলছেন আনুপাতিক হারে গরুর দাম এবার বেশ কম।

যতোই ঈদের সময় ঘনিয়ে আসছে পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঈদের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি থাকায় ক্রেতারা সামর্থ অনুযায়ী কোরবানির পশু কেনার জন্য উপজেলা বৃহৎ শেয়ালমারী, ডুগডুগি ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর পশুহাটে ছুটছেন। আর কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়ার আশায় বিক্রেতারাও গরু-ছাগল নিয়ে ছুটছেন বিভিন্ন পশুহাটে। গত কয়েকদিনে উপজেলার হাটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার শিয়ালমারী পশুহাটে ফড়িয়া ও ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। চুয়াডাঙ্গা ৪ উপজেলায় বিভিন্ন ক্ষুদ ও বৃহৎ খামারিরা খামারের গরু বিক্রির উদ্দেশে হাটে নিয়ে আসছেন। হাটে প্রচুর পরিমাণে দেশি ও ভারতীয় গরু উঠছে। জীবননগর উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের মসলেম উদ্দীনের ছেলে রফিক জানান, তিনি দু বছর পূর্বে ২৬ হাজার টাকায় একটি বাছুর গরু কেনেন। যা তিনি এবারের কোরবানিতে ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। তিনি বলেন, এই বাছুরটি পালনে তার ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সেই হিসেবে এবারের কোরবানিতে বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আমির মজিদ জীবননগরে এক মতবিনিময়সভায় জানান, এবারে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৫২ হাজার গরু বিক্রির জন্য খামারে মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। ৪০ হাজার গরু এ জেলায় কোরবানি করা হবে। উদ্বৃত্ত থাকছে ১২ হাজার গরু। যা দেশের অন্য স্থানে সরবরাহ করা হবে। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের মাধ্যমে গরু আনা থেকে বিরত রাখতে সতর্ক পাহারায় রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, গরু পালানে লাভ ভালো হওয়ায় যাদের আয় কম এমন পরিবারসহ বিভিন্ন খামারে এ উপজেলায় এবার ১১ হাজার গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। যা এলাকার চাহিদা পূরণ করতে যথেষ্ট। তিনি জানান, পশুসম্পদ অধিদপ্তরের একটি টিম পশুহাটে তদারকি করছেন এবং পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে।